সুগন্ধি মোমবাতি সহজেই তৈরি করা যায় বাড়িতে। ছবি: সংগৃহীত।
সারা দিন বৃষ্টি হচ্ছে! জানলা-দরজা খুলে রাখার উপায় নেই। তাই ঘরের মধ্যে কেমন যেন ভ্যাপসা একটা গন্ধ হয় এই সময়ে। রোদের অভাবে কিছুই শুকোতে চায় না। ঘরের এক কোণে শুকোতে দিতে হয় ভেজা জামা-কাপড়। সেখান থেকেও বিশ্রি গন্ধ বেরোয়। এমন সময়ে বাড়িতে যদি হঠাৎ অতিথি আসার খবর পান, কী করবেন?
অনলাইনে সুগন্ধি ‘রুম স্প্রে’ কেনেন অনেকে। অনেকে আবার সুগন্ধি মোমবাতিও অর্ডার দেন। ঘর সাজানো এবং ঘরের দুর্গন্ধ দূর করা— দু’টি সমস্যারই সমাধান করা যায়। তবে সেগুলির অনেক দাম। তার চেয়ে যদি নিজে হাতে সুগন্ধি মোমবাতি তৈরি করে রাখতে পারেন তা হলে অনেক সমস্যারই সমাধান করা যায়। কিন্তু কী ভাবে বানাবেন সুগন্ধি মোমবাতি?
১) প্রথমে যে আকারের মোমবাতি বানাতে চাইছেন, সে মাপের একটি পাত্র বা কাচের পাত্র জোগাড় করুন।
২) তার পর সেই পাত্রে কী পরিমাণ মোম ধরবে, সেটা দেখে নিয়ে তার দ্বিগুণ পরিমাণে মোম সংগ্রহ করে রাখুন।
৩) একটি বড় পাত্রে জল গরম করুন। এ বার আর একটি বাটিতে পরিমাণ মতো মোম নিয়ে সেই বাটিটা গরম জলের পাত্রের উপর রেখে আঁচটা বাড়িয়ে দিন। মোমাটা যখন গলতে শুরু করবে, তখন বার বার নাড়াতে হবে, যাতে মোমটা জমাট বেঁধে না যায়।
৪) মোম যখন পুরোপুরি গলে যাবে, তখন তার মধ্যে পছন্দ মতো সুগন্ধি তেল দিয়ে দিন এবং ক্রমাগত নাড়িয়ে যান মিশ্রনটি। তেল যেন মোমের সঙ্গে ভাল ভাবে মিশে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
৫) এ বার যে পাত্রে মোম ঢালবেন, সেই পাত্রে সলতে লাগিয়ে নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে সলতের কোনও একটি দিক কিছু সময় গলানো মোমের মধ্যে রেখে সঙ্গে সঙ্গে সেটি কাচের পাত্রের ভিতরে বসিয়ে দিন। মিনিট খানেকের মধ্যেই মোম জমে যাবে। সলতের অপর প্রান্তটি পাত্রের বাইরে বার করে রাখুন।
৬) সলতে লাগানো হয়ে গেলে ধীরে ধীরে অর্ধেক তরল মোম পাত্রে ঢেলে নিতে হবে। এ সময়ে সলতের উপর থেকে ধরে রাখবেন, যাতে সেটি একেবারে সোজা থাকে।
৭) মোম ঢালা হয়ে গেলে পাত্রটি চার ঘণ্টা একই ভাবে রেখে দিতে হবে। সময় হয়ে গেলে বাকি মোম পুনরায় পাত্রে ঢেলে আরও কিছু ক্ষণ আপেক্ষা করতে হবে।