খরচা ছাড়াই বাড়িতে শুরু করতে পারেন বাগান। ছবি: ফ্রিপিক।
বারান্দা জুড়ে রকমারি ফুল ফুটে থাকলে সেই সৌন্দর্য হার মানাতে পারে দাম দিয়ে কেনা ঘর সাজানোর জিনিসকেও। শীতের মরসুমে ছোট্ট বারান্দাই সাজিয়ে তুলতে পারেন সুন্দর বাগান করে। আলাদা করে একগাদা খরচের দরকার নেই। বরং হাতের কাছে থাকা জিনিসপত্র দিয়েই প্রথম ধাপে বাগান করার পরিকল্পনা করতে পারেন।
টব: কেনার দরকার নেই। বরং বাড়ির পুরনো বালতি, হাতল ভেঙে যাওয়া কফি মগ, প্লাস্টিকের বোতলেই শুরু করতে পারেন চাষবাস। শুধু যে পাত্রে গাছ লাগাবেন, তার নীচে একটি ছিদ্র করে দিতে হবে, যাতে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যায়।
মাটি: গাছের জন্য উপযুক্ত মাটি প্রয়োজন। সেই মাটিতে শুরু থেকেই জৈব সার থাকলে ভাল হয়। তবে এ জন্য কেনাকাটির দরকার নেই। বরং গোবর পচিয়ে সার তৈরি করে নিতে পারেন। গাছের পাতা, আনাজের খোসা দিয়েও সার তৈরি করে মাটিতে মেশানো যায়।
খোসা দিয়ে সার:আনাজের খোসা, ফলের খোসা, ডিমের খোসা সমস্ত কিছু একটি ঝুড়িতে জমা করুন। চড়া রোদে রাখুন, সমস্ত উপকরণ শুকিয়ে গেলে গুঁড়ো করে নিন। এতে কয়েকটি ঘুঁটেও গুঁড়ো করে দিতে পারেন। এই উপকরণ মাটিতে মিশিয়ে নিলেই হবে।
চারা: বীজ বা চারাও ঘর থেকেই পাওয়া যাবে। সব্জি বাগান করতে চাইলে ধনেপাতা, টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা এগুলি বেছে নিতে পারেন। বাড়িতেই গোটা ধনে থাকে। ধনে হামানদিস্তায় হালকা থেঁতো করে কানা উঁচু পাত্র বা ডেকচিতে জল দিয়ে, তার উপর জালি দেওয়া ঝুড়ি রাখুন। বীজ ছড়িয়ে দিন উপর থেকে। উপর থেকে ভিজে সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে দিন। সূর্যালোকে রাখুন। ৮-১০ দিনে দেখবেন, চারা বেরিয়েছে। ২০-২৫ দিনে ধনেপাতায় ভরে যাবে।
বাড়িতে ফ্রিজে থাকা অল্প নরম হয়ে যাওয়া টম্যাটো কেটে মাটির ১ ইঞ্চি গভীরে পুঁতে দিন। উপরে মাটি চাপা দিন। কয়েক দিনেই চারা বেরোবে। কাঁচা লঙ্কা লম্বা করে চিরে মাটিতে ছড়িয়ে দিলে তা থেকেও গাছ হবে।
অনেক ফুলের গাছই ডাল কেটে পুঁতে দিলে হয়। অনেকের বাড়িতে বাড়তি চারাও থাকে। কিনতে না চাইলে ডাল বা চারা সংগ্রহ করতে পারেন।
বিশেষ যত্ন লাগে না এমন গাছ: গাছ এবং বাগানের জন্য বিশেষ সময় দেওয়া সম্ভব না হলে এমন গাছ বসাতে পারেন যেগুলির জন্য বিশেষ যত্নআত্তি লাগে না। ঠিকঠাক জল, রোদ পেলেই গাছ বেড়ে ওঠে। জবা, নয়নতারা এই ধরনের গাছ বসাতে পারেন। ধনেপাতা, কাঁচালঙ্কা সবই অল্প পরিচর্যায় বেড়ে উঠতে পারে।
পোকামাকড়: গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব হয় বিভিন্ন সময়ে। ৪ কাপ জলে ৫ টেবিল চামচ বাসন মাজার তরল সাবান দিয়ে একটি স্প্রে বোতলে ভরে গাছে দিন। এতে পোকামাকড় দূর হবে।