করিনার সৌন্দর্যের রহস্য কি শুধুই রূপচর্চা আর ডায়েট? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
বয়স শুধু সংখ্যা মাত্র, বার বার প্রমাণ করেছেন বি-টাউনের একাধিক তারকা। সেই তালিকায় রয়েছেন অভিনেত্রী করিনা কপূর খানও। দুই সন্তানের মা তিনি। সংসার, শুটিং— হাজারো ঝক্কি সামলাতে হয় তাঁকে। তার পরেও করিনার নির্মেদ চেহারা নজর কাড়ে সকলের। নায়িকার সৌন্দর্য ঝড় তোলে অনুরাগীদের বুকে।
করিনার সৌন্দর্যের রহস্য কী? কী ভাবেই বা ত্বকের যত্ন নেন অভিনেত্রী? বিভিন্ন সময়ে একাধিক সাক্ষাৎকারে ফিটনেস, সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলেছেন করিনা কপূর খান। তেমনই একটি সাক্ষাৎকারে অলস দিনে রূপচর্চার গোপন কথা ফাঁস করেছেন অভিনেত্রী। করিনার কথায়, ‘‘ছুটির দিনে বাড়িতে আমি নিজেকে কাঠবাদামের তেলে ভিজিয়ে নিই।’’ ত্বকের যত্নে বরাবরই আর্দ্রতাকে গুরুত্ব দেন অভিনেত্রী। ছুটির দিনে আলসেমি চেপে বসলে, মাত্র দু’টি উপকরণ দিয়েই রূপচর্চা করেন তিনি। কাঠবাদামের তেল এবং টক দই। করিনা বলছেন, ‘‘তেলের সঙ্গে দই-এর যুগলবন্দি শুষ্ক ত্বকের জন্য অত্যন্ত ভাল।’’
শীত আসার আগে থেকেই ত্বকে টান টান ভাব দেখা যায়। এই মরসুমে শুষ্ক হয়ে পড়ে ত্বক। সমস্যার সমাধানে শুধু রূপচর্চা নয়, বার বার জল খাওয়ার কথাও বলেছেন অভিনেত্রী। করিনা নিজে সারা দিনে ৩ লিটার জল খান। পাশাপাশি ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করেন। প্রতি দিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমোতে যান। আর তার আগে মেকআপ তুলতে এবং ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করতে ভোলেন না তিনি।
তবে সৌন্দর্যের রহস্য কি এইটুকুই? করিনার কথায়, বংশগত ভাবে তিনি সুন্দর ত্বক পেয়েছেন ঠিকই, তবে মন থেকে খুশি থাকাও ভীষণ জরুরি। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আমরা সুখী পরিবার। আমরা সকলে একসঙ্গে থাকি, গল্প করি, সময় কাটাই।’’ সংসারে শান্তি থাকলে মনও ভাল থাকে।
করিনার কথায় স্পষ্ট, সহজ জীবনযাত্রা, আনন্দে থাকা এবং ত্বকের ধারাবাহিক যত্নেই যে কোনও মরসুমে সুস্থ এবং সুন্দর থাকা যায়।