ছবি: সংগৃহীত।
খাবার খাওয়ার পর এঁটো বাসন ফেলে রাখেন না। কারণ, উচ্ছিষ্ট খেতে সেখানে পোকামাকড়ের আবির্ভাব হতে পারে। কিন্তু তাড়াহুড়োতে বাসন মাজার ভিজে স্পঞ্জটি শুকোতে দেওয়ার কথা কিছুতেই মনে থাকে না। জলে ভেজা সাবানের উপরেই রেখে দেন। সেই স্পঞ্জটিই ধুয়ে নিয়ে পরের দিন আবার ব্যবহার করেন। বাড়ির মাসকাবারি মালপত্রের সঙ্গে বাসন মাজার স্পঞ্জ আসে নিয়ম করে, কিন্তু খুব প্রয়োজন না পড়লে প্যাকেটটি কাটা হয় না। চিকিৎসকেরা বলছেন, এই অভ্যাসের কারণেই ব্যাক্টেরিয়াজনিত রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। ওষুধ খেলেও পেটের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় না।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, বাসন মাজার স্পঞ্জ বা ব্রাশগুলি যে ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘর তা বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণ হয়েছে। এমনকি চিকিৎসকেরা বলছেন, স্পঞ্জগুলি কমোডের চাইতেও নোংরা। সঙ্গে থাকে খাবারের উচ্ছিষ্ট। দিনের পর দিন সেগুলি স্পঞ্জের মধ্যে পচতে শুরু করে। এবং ব্যাক্টেরিয়ার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়। তাই দাঁত মাজার ব্রাশের মতোই এই স্পঞ্জগুলিকেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলে ফেলতে হয়। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে পারলে মাসখানেক, না হলে এক বা দু’সপ্তাহ অন্তর বাসন মাজার স্পঞ্জ বদলে ফেলতে হবে।
কী কী মাথায় রাখবেন?
এক থেকে দু’সপ্তাহ অন্তর স্পঞ্জ এবং এক থেকে দু’মাস অন্তর বাসন মাজার ব্রাশ বদলে ফেলুন।
প্রতি বার বাসন মাজার পর ব্রাশ বা স্পঞ্জ ঈষদুষ্ণ জলে সাবান দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। জীবাণুমুক্ত করতে হলে ভিজে স্পঞ্জ রোদে শুকিয়ে নিতে পারলে ভাল হয়।
ছোট কাচের পাত্রে তরল সাবান দিয়ে মাইক্রোঅয়েভে কিছুটা গরম করে নিন। তার পর মিনিট খানেক ওই স্পঞ্জটি ভিজিয়ে রাখুন। এতে স্পঞ্জের মধ্যে থাকা ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া সহজেই মরে যায়।