— প্রতীকী চিত্র।
ডায়েট শুরু করার পর পরই বাজার থেকে ব্রাউন রাইস কিনে এনেছিলেন। কিন্তু কিছু দিন খাওয়ার পরেই তার জায়গা হয়েছে হেঁশেলের তাকে। এই চাল দিয়ে যে পায়েস রেঁধে ফেলবেন, সেই উপায়ও নেই। বিরিয়ানি হলেও পণ্ডশ্রম হবে। ব্রাউন রাইস, গোবিন্দভোগ বা বাসমতি, কোনও চালেরই বিকল্প হতে পারে না। মাঝেমধ্যে ভালমন্দ কিছু পদ রান্না হলে তখন ওই চালের কথা মনে পড়ে। কিন্তু দীর্ঘ দিন কৌটোবন্দি অবস্থায় থেকে চালের মধ্যে পোকা ধরে যায়। কেমন যেন একটা গন্ধ বেরোয়। তবে কয়েকটি টোটকা মাথায় রাখলেই বর্ষাকালে এমন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
১) শুকনো জায়গায় রাখুন
গেরস্থ বাড়িতে চাল যেন বাড়ন্ত না হয়। তাই একটু বেশি পরিমাণে চাল কেনার পক্ষে অনেকেই। কিন্তু এই এত পরিমাণ চাল রাখার ব্যবস্থা না করে কিনে ফেললে এই ধরনের সমস্যা হতে পারে। তবে চালের বস্তা যদি রাখতেই হয়, সে ক্ষেত্রে হেঁশেলে না রেখে ঘরের অন্যত্র, শুকনো জায়গায় রাখা যেতেই পারে।
২) ফ্রিজে রাখতে পারেন
সাধারণ বাড়িতে যদিও এমন প্রমাণ আকারের ফ্রিজ থাকে না। তবে যদি কারও বাড়িতে ক্যাবিনেট ফ্রিজ থাকে, সে ক্ষেত্রে চাল কিন্তু এখানে রাখা যেতেই পারে।
৩) গন্ধযুক্ত মশলা থেকে দূরে রাখুন
জিরে, ধনে, গরম মশলার থেকে চালের বস্তা একটু দূরে রাখাই ভাল। চাল খুব সহজেই এই ধরনের মশলার গন্ধ ধরে রাখতে পারে। রান্নার পর গন্ধের পাশাপাশি, ভাতের স্বাদও পাল্টে যেতে পারে।
৪) পোকা যেন না ধরে
বেশি করে চাল মজুত করে রাখলে বর্ষায় চালে পোকা ধরতেই পারে। তাই চালের বস্তার মধ্যে নিমপাতা বা তেজপাতা দিয়ে রাখেন অনেকেই।
৫) রোদে দিতে হবে
অনেকটা চাল মজুত করে রাখলে মাঝেমধ্যে তা রোদে দিতে হবে। কিছু ক্ষণ রেখে, নাড়াচাড়া করার পর রোদ থেকে সরিয়ে নিতে হবে। তার পর তা পাখার হাওয়ায় রেখে ঠান্ডা করে নিয়ে বস্তাবন্দি করে রাখা যেতেই পারে।