চিনাবাদাম। ছবি: সংগৃহীত।
চানাচুর থেকে বেছে বেছে বাদামগুলো তুলে খেয়ে নেন। স্বাস্থ্য সচেতন কেউ কেউ আবার ভেজানো বাদামও খান। ঘুরতে ফিরতে বাদাম খাওয়ার অভ্যাসও রয়েছে অনেকের। তবে অনেকের ধারণা, বাদাম খেলে মেদ বাড়ে। বাদামে যে স্নেহপদার্থ রয়েছে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন সেই ফ্যাট যথেষ্ট স্বাস্থ্যকর। তাই পরিমিত পরিমাণে বাদাম রোজ খেলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ‘জাপান পাবলিক হেল্থ সেন্টার’-এর একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে দেহের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ থেকে হার্টের স্বাস্থ্য— সবই ভাল থাকে নিয়মিত বাদাম খেলে।
১) প্রোটিন
উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের উৎস হল চিনাবাদাম। ১০০ গ্রাম বাদাম থেকে প্রায় ২৬ গ্রাম প্রোটিন পাওয়া যায়। তবে শুধু বাদাম ভাজা না খেয়ে পিনাট বাটার, বাদামের তেল, বাদামের আটাও খাওয়া যেতে পারে।
২) কার্বোহাইড্রেট
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে কম ক্যালোরির খাবার খান? সে ক্ষেত্রে বাদাম কিন্তু থাকতেই পারে। এ ছাড়াও ডায়াবিটিস রোগীদের জন্যেও বাদাম নিরাপদ। কারণ বাদামে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মান অনেকটাই কম।
৩) ভিটামিন ই
বাদামে রয়েছে ভিটামিন ই। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। ত্বক এবং চুলের স্বাস্থ্যও ভাল রাখে।
৪) ম্যাগনেশিয়াম
শরীরের বিভিন্ন পেশিকে কার্যকর রাখতে ম্যাগনেশিয়াম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। শরীরে বিভিন্ন উৎসেচকের কাজ ঠিক রাখতেও সাহায্য করে ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ বাদাম। শরীরে শক্তির জোগান দিতে পারে বাদাম।
৫) ফোলেট
কোষের বিভাজন বা নতুন কোষ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান হল ফোলেট। বাদামের মধ্যে এই উপাদানটি যথেষ্ট পরিমাণে রয়েছে। প্রতিরোধ ব্যবস্থা মজবুত করতে, স্নায়ু এবং হাড়ের জোর বাড়িয়ে তুলতেও বাদাম খাওয়া প্রয়োজন।