Cleaning Tips

পুজোয় বাড়িঘরের অবস্থা তথৈবচ? কমসময়ে কী ভাবে আবার সাজিয়ে-গুছিয়ে তুলবেন?

পুজো শেষে বাড়িঘরের দিকে তাকালে আঁতকে ওঠার জোগাড়। অনেকেরই আবার অফিস শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বাড়িঘর পরিষ্কার করার ফুরসতটুকু নেই। তবে ব্যস্ততার মাঝেই কয়েকটি কৌশল মেনে পরিষ্কার করলে বিশেষ পরিশ্রম হবে না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ১৫:১৬

ছবি: সংগৃহীত।

পুজোয় সকাল থেকে রাত বাইরেই কেটে যায় অনেকের। সাজগোজ করা আর ঘুমোনো ছাড়া এই পাঁচটি দিন বাড়ির সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক থাকে না। উপরন্তু বাড়িঘরের উপর প্রবল অত্যাচার চলে। ঘরের চতুর্দিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা জিনিসপত্র, অগোছলো পোশাক, পরিষ্কার করার অভাবে আসবাবপত্রে ধুলোর পুরু স্তর জমে যাওয়া— পুজো শেষে বাড়িঘরের দিকে তাকালে আঁতকে ওঠার জোগাড়। অনেকেরই আবার অফিস শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে বাড়িঘর পরিষ্কার করার ফুরসতটুকু নেই। তবে ব্যস্ততার মাঝেই কয়েকটি কৌশল মেনে পরিষ্কার করলে বিশেষ পরিশ্রম হবে না।

Advertisement

১)অপরিষ্কার পোশাক এদিক-ওদিক পড়ে থাকলে সেটা সবচেয়ে দেখতে খারাপ লাগে। তাই বাজার থেকে একটা সুন্দর লন্ড্রি ব্যাগ কিনে ঘরের এক কোণে রাখুন। অথবা বাড়িতেই যদি সেই ব্যাগ থাকে, তা হলে ময়লা পোশাকগুলি তার মধ্যে রেখে দিন। তা হলে কাচার সময় হাতের কাছেই সব পেয়ে যাবেন। ঘরও অগোছলো দেখাবে না।

২) মাটিতে অহেতুক জিনিস পড়ে থাকলে ঘর কোনও দিন পরিষ্কার করা সম্ভব নয়। তা ছাড়া ঘর দেখতেও বড্ড অপরিষ্কার লাগে। তাই দরজার পিছনে বা ঘরের কোনও লুকোনো কোণায় হুক বা হ্যাঙার লাগিয়ে নিন। যেখানে বাইরের ব্যাগ, জামা, ছাতা ঝুলিয়ে রাখতে পারবেন।

৩) আলাদা একটা বাক্স বা ড্রয়ারে যাবতীয় কাগজ, ওষুধ, জরুরি জিনিস গুছিয়ে রাখুন। টেবিলের উপর বা খাটের পাশের ছোট্ট জায়গায় এগুলি ফেলে রাখবেন না। দেখতে খুব খারাপ লাগে।

৪) শোয়ার ঘর পরিষ্কার করতে বাড়তি নজর দেওয়া জরুরি। কারণ দিনের শেষে ঘরে ঢুকে আপনি প্রথমে বিছানার দিকেই তাকাবেন। সময় নষ্ট না করে প্রথমেই বিছানা গুছিয়ে ফেলুন। প্রথমেই বালিশের কভার, বিছানার চাদর কেচে নিন। ১০ মিনিট বরাদ্দ করলে বিছানার পাশগুলো মুছে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। খাটের পাশে কোনও বই, আলো কিংবা পুতুল থাকলে সেগুলির উপরও ধুলো জমে। তাই সপ্তাহে একদিন ধুলো ঝাড়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুন
Advertisement