প্রতীকী ছবি।
সিরিয়াল-সিনেমার পর্দায় যেরকম রান্নাঘর সাজানো থাকে, বাস্তবের রান্নাঘরের সাজ কিন্তু সেই রকম নয়। অথচ বাড়ি-ঘর, অন্যান্য আসবাব সব হাল ফ্যাশনের।তবে রান্নাঘর কেন এমন হবে?হেঁশেলহল বাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটিঅংশ।দিনের মধ্যে বেশ খানিকটা সময় কিন্তু রান্নাঘরেই কাটে।সেখানকার সাজও মন ভাল করার মতো হওয়া জরুরি। কয়েকটি সহজ উপায় রয়েছে। তা দিয়ে কম খরচেই বিলাসবহুল সাজের ছোঁয়া পাবে রান্নাঘর।
১) হেঁশেলে রাখুন সুন্দর দেখতে কাঁটা, চামচের সেট।নিজের রুচির সঙ্গে মানানসই জিনিসপত্র কিনুন। চামচ, হাতা, খুন্তি— এ সব হল হেঁশেলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাসনপত্র যদি একটু মন দিয়ে বাছাই করেন, তবে তা আপনার হেঁশেলে আনবে অন্য চমক। রাখুন ফ্লোরাল প্রিন্টের প্লেট ও উজ্জ্বল রঙের কফির কাপও।খেয়াল রাখুন রান্নাঘর যেন ভরে থাকে বিভিন্ন রঙের জিনিসে। তাতে উজ্জ্বল হয়ে উঠবে এলাকাটি।
২) রান্নাঘরে চিরাচরিত সাদা আলো না রেখে একটু মায়াবী আলো বা ডিজাইনার লাইট ব্যবহার করুন। সিলিং লাইটও এখন বেশ জনপ্রিয়। এতে রান্নাঘরটি বেশ আধুনিক চেহারা পাবে।
৩) বসার ঘর সাজানোর জন্যই কেবল অ্যান্টিক জিনিস কেনেন? রান্নাঘরের ক্ষেত্রেও ব্যবহার করুন ছোটখাটো অ্যান্টিক জিনিস। এখন যেমন পুরনো ধরনের কেটলি ব্যবহার করা হয় না, তাই রান্নাঘরের এক কোণে এ রকম পুরনো ধাঁচের ডিজাইনার কেটলি রাখতে পারেন।
৪) ঘর সাজানোর ক্ষেত্রে গাছ একটি অন্য মাত্রা এনে দেয়। রান্নাঘরের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। ছোট জায়গা হলে একটি বা দু’টি গাছ রাখতে পারেন। রান্নাঘরের পাশে কোনও তাকে ছোট ছোট গাছ রাখুন।
৫) হেঁশেলের বিলাসবহুল সাজ কিন্তু অসম্পূর্ণ থেকে যাবে সুগন্ধী ব্যবহার না করলে। রান্নাঘর থেকে এমনিতেই খাবারদাবারের গন্ধ বেরোয়। তবেবাকি সময়টা রান্নাঘরে মিষ্টি পরিবেশ তৈরি করে রাখতে হাল্কা করে সুগন্ধী ছড়িয়ে দিন।