জলহস্তির লিঙ্গপরিচয়। ছবি: সংগৃহীত।
ছিল পুরুষ, হয়ে গেল নারী! না, আদতে তা নয়। এত কাল সে নারীই ছিল। কিন্তু চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ তাকে ‘পুরুষ’ ভেবে বসেছিলেন! একটি জলহস্তীকে ঘিরে এমনই কাণ্ড ঘটল জাপানের একটি চিড়িয়াখানায়। সাত বছর ধরে তার মধ্যে কোনও পুরুষোচিত আচরণের দেখা মেলেনি। আর তাতেই নাকি সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করে। ডিএনএ পরীক্ষার পর ভুল ভাঙে চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের!
জলহস্তীটির নাম জেন চ্যান। ২০১৭ সালে মেক্সিকো থেকে তাকে জাপানের ওসাকা তেনোজি চিড়িয়াখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময় নথিপত্র যা হস্তান্তর হয়েছে, তাতে জেনকে পুরুষ বলেই উল্লেখ করা হয়েছিল। সেই মতোই এত দিন তাকে চিড়িয়াখানায় রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি, চিড়িয়াখানা কর্মীদের নজরে আসে যে, জেনের পুরুষাঙ্গ নেই! এর পরেই ডিএনএ পরীক্ষা হয় জেনের। তাতেই জানা যায় যে, জেন আসলে স্ত্রী জলহস্তী।
নিজেদের ভুল স্বীকার করে সম্প্রতি একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন ওসাকা চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর আফ্রিকাম সাফারি অ্যানিমেল পার্ক থেকে তাদের চিড়িয়াখানায় আসে জেন। তখন তার বয়স ছিল পাঁচ বছর। তখনই বলা হয়েছিল যে, সে পুরুষ। যে হেতু সেই সময় জেন শাবক ছিল, তাই নথিতে কী লেখা রয়েছে, তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামানো হয়নি।
চি়ড়িয়াখানার এক মুখপাত্র সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে জানান, ‘‘বয়স বাড়লেও জেন চ্যানের মধ্যে পুরুষের মতো কোনও আচরণ দেখা যাচ্ছিল না। এমনকি স্ত্রী জলহস্তীর ডাকেও সে সাড়া দিত না। এতেই কর্মীদের মনে সন্দেহ হয়।’’ চিড়িয়াখানার আর এক আধিকারিক কিয়োশি ইয়াসুফুকু বলেন, ‘‘প্রাণীর লিঙ্গ নিশ্চিত করা কতটা জরুরি, সেটা বুঝেছি আমরা। ভবিষ্যতে এই ধরনের ভুল আর হবে না।’’ তবে, চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, জেন স্ত্রী হলেও তার নাম পরিবর্তন করা হবে না।