কম দামে কিনুন হালকা সোনার গয়না। ছবি: সংগৃহীত।
ইদানীং সোনার নাম শুনলে প্রথমটায় থতমত খেতে হয়। কয়েক সেকেন্ড পর সম্বিত ফিরলে মনে হয় সোনা বুঝি কারও ডাকনাম। সেই ধাতুর দাম এমনই আকাশছোঁয়া। অর্থনীতির বইতে চাহিদা এবং জোগানের কথা পড়েছেন অনেকেই। যে কোনও জিনিসের চাহিদা বৃদ্ধি পেলে তার দামও চড়চড় করে বাড়তে থাকে। গয়নাপ্রেমী মানুষের কাছে সোনার চাহিদা বরাবরই ছিল। কিন্তু দাম মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল না। বিগত চার-পাঁচ বছর আগেও ১০ গ্রাম সোনার দাম ৩০ থেকে ৩২ হাজার টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করত। এখন সে সব শুনলে গল্প কথাই মনে হয়। চার দিন আগে অর্থাৎ, সোমবার শহরে ২২ ক্যারেট হলমার্ক সোনার দাম ছিল ৭১,০৫০ টাকা। সেই তুলনায় শুত্রবার সোনার দাম একটু হলেও কমেছে। ১০ গ্রাম হলমার্ক সোনার দাম হয়েছে ৬৯,৪৫০ টাকা। সোনার দাম কমেছে শুনলেই তো বাঙালির সোনা কেনার হিড়িক পড়ে যায়। তবে, যেটুকু দাম কমেছে তাতে সকলের যে সাধপূরণ হবে, এমনটা নয়। কিন্তু বিয়ে, মুখেভাত কিংবা আশীর্বাদে আত্মীয়-পরিজনকে দিতে গেলে তো সোনা কিনতেই হয়। তা-ই হালকা ওজনের কিছু গয়না কিনে রাখা যেতে পারে।
১) হালকা ওজনের আংটি:
একবারে অনেকটা টাকা খরচ করে ভারী গয়না না গড়িয়ে হালকা সোনার আংটি কিনে রাখতে পারেন। পাথর বসানো আংটি না কিনে বেছে নিতে পারেন সোনার পাতের উপর ছিলে কাটা আংটি। ওজন কম হবে। শিশুদের মুখেভাতেও আংটি দেওয়ার চল আছে। অর্থের জোগান থাকলে বেশ কয়েকটা কিনে রাখা যেতে পারে। প্রয়োজন পড়লে সেগুলি বদলে অন্য কিছু কেনা যেতেই পারে। সোনা যদি হলমার্ক হয়, সে ক্ষেত্রে মজুরি ছাড়া খুব বেশি কিছু বাদও যাবে না।
২) ব্রেসলেট:
পশ্চিমী পোশাকের সঙ্গে এখন হাতে নানা ধরনের ব্রেসলেট পরার চল হয়েছে। ১ থেকে ২ গ্রামের মধ্যেও সেই গয়না পাওয়া যায়। শিশুদের ব্রেসলেট হলে ওজন আরও একটু কম হবে।
৩) নাকফুল:
ছোট হোক, তবু সোনা তো! সেই কথা ভেবে অনেকে ছোট নাকছাবি বা নাকফুল কিনে থাকেন। আমেরিকান ডায়মন্ড, আসল চুনি-পান্না নয়, সেমি প্রেসিয়াস পাথর দেওয়া নাকছাবি ৩ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। চাইলে তেমন কিছু গয়নাও কিনতে পারেন।
৪) লকেট, পেনডেন্ট:
পুত্র কিংবা কন্যার জন্মদিনে একটু সোনা দিতে চান। সোনার যা দাম খুব বড় কিছু কেনা যাবে না। সরু সোনার চেনের সঙ্গে ছোট্ট কোনও লকেট বা নামের আদ্যক্ষর দেওয়া পেনডেন্ট কিনতে পারেন। ১ গ্রামের মধ্যে সে রকম গয়না পাওয়া যায়।
৫) সকেট চুড়ি:
সোনার চুড়ি, বালা পরে রাস্তাঘাটে যাতায়াত করতে ভয় করে। তাই বিয়েতে পাওয়া গয়না সব লকার-বন্দি হয়ে পড়ে থাকে। তার চেয়ে বরং সব সময়ে পরা যায় এমন কিছু বানিয়ে নেওয়া যেতে পারে। যাতে সোনাও থাকে অল্প। এই ধরনের চুড়ি আসলে ব্রোঞ্জ দিয়ে তৈরি হয়। যার উপর বসানো থাকে সোনার পাত। বাইরে থেকে দেখে কিন্তু বোঝার উপায় থাকে না।