অনলাইন গেম খেললে কী কী সাবধানতা নিতে হবে? ছবি: ফ্রিপিক।
অনলাইন গেমের নেশায় বুঁদ কমবয়সিরা। বাসে, ট্রেনে, মেট্রোয় সর্বত্রই মোবাইলে গেম খেলা চলছে। অনলাইনে গেম খেলায় এতটাই বুঁদ থাকে ছোটরা, যে চারপাশে কী ঘটছে তার খেয়াল থাকে না। এই গেমের আসক্তি এক দিকে যেমন মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে, তেমনই সামান্য অসাবধানতায় সাইবার অপরাধীরা সিঁদ কেটে ঢুকে পড়তে পারে আপনারই ব্যক্তিগত জীবনে। অনলাইনে এখন নানা রকম প্রতারণামূলক কাজকর্ম হচ্ছে। সক্রিয় হয়ে উঠেছে এক শ্রেণির সাইবার অপরাধীরা। ডিজিটাল যে কোনও মাধ্যমেই প্রতারণার ফাঁদ পাতা হচ্ছে। অনলাইন গেমও তার বাইরে নয়।
কী কী ধরনের বিপদ হতে পারে? কী ভাবে সতর্ক থাকবেন?
১) খুদে কোন অ্যাপ ইনস্টল করে গেম খেলছে তা যাচাই করে নিন। একমাত্র বিশ্বাসযোগ্য জায়গা থেকেই গেম ডাউনলোড করতে হবে। এখন নানা ভুয়ো ওয়েবসাইট খুলে সেখানে জমকালো বিজ্ঞাপন দিয়ে গেম খেলার জন্য আকর্ষণ করা হচ্ছে কমবয়সিদের। সেই ফাঁদে যেন খুদে জড়িয়ে না পড়ে, তা দেখতে হবে।
২) পাসওয়ার্ড শক্তিশালী হতে হবে। অন্তত ১৬ অক্ষরের পাসওয়ার্ড সেট করে দিন। তা ছাড়া এমন অ্যান্টিভাইরাস ইনস্টল করে রাখতে হবে, যা সহজেই ভাইরাস বা ম্যালঅয়্যার চিনতে পারে।
৩) অনেক সময়ে মোবাইলে এসএমএস করে অনলাইন গেমের লিঙ্ক পাঠানো হয়। খেয়াল রাখবেন এমন কোনও লিঙ্কে খুদে ক্লিক করছে কি না। এই ধরনের লিঙ্কের আড়ালে ম্যালঅয়্যার থাকতে পারে যা মোবাইল, কম্পিউটার বা ল্যাপটপে ইনস্টল্ড হয়ে গেলে ডিভাইসটির নিয়ন্ত্রণ সাইবার অপরাধীদের হাতে চলে যেতে পারে।
৪) অনলাইন গেমে অনেক সময়েই প্রতিপক্ষের সঙ্গে কথাবার্তা বা চ্যাট করার অপশন থাকে। সেখানে এমন কোনও লিঙ্ক আসছে কি না দেখবেন, যেখানে ক্লিক করে টাকা পাঠাতে বলা হচ্ছে। অথবা প্রতিপক্ষ কোনও উস্কানিমূলক বা আপত্তিজনক কথাবার্তা বলছে কি না, তা-ও খেয়াল রাখতে হবে।
৫) যে মোবাইল বা ল্যাপটপে খুদে গেম খেলছে, সেটির সফ্টঅয়্যার সময়ান্তরে আপডেট করতে হবে।
৬) অনলাইন গেম চলাকালীন অনেক সময়েই টাকাপয়সার লেনদেন করার নোটিফিকেশন আসে। খেয়াল রাখবেন, তেমন কিছু আসছে কি না। যদি ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের তথ্য চাওয়া হয় অথবা কোনও কিউআর কোড স্ক্যান করতে বলা হয়, তা হলে তা করবেন না। সেই গেমটি যে অ্যাপে রয়েছে তা আনইনস্টল করে দেওয়াই ভাল।