কাঠবাদাম পারে ডায়াবিটিসের সমস্যা কমাতে। ছবি: সংগৃহীত
রোজ মাঝরাত করে ঘুমোনো কিংবা উল্টোপাল্টা খাওয়া জীবনধারার এই ধরনের বেহিসাবি অভ্যাস শরীরে প্রভাব ফেলে। ফলে কম বয়সেই থাবা বসাচ্ছে বেশ কিছু রোগ। গবেষণা বলছে ভারতে ১৬ থেকে ২৫ বছর বয়সিদের মধ্যে ডায়াবিটিসের প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। তারা নিয়মিত কাঠবাদাম খেলে উপকার পাবেন।
কেন কাঠবাদাম উপকারী?
কাঠবাদাম শরীরের বিপাক হার বাড়ায়। ডায়াবিটিসের প্রবণতা থাকা অবস্থাতেই যদি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তাহলে হয়তো ডায়াবিটিস আটকানো বা তার গতি রোধ করা সম্ভব হবে। কাঠবাদাম খেলে শরীরের উপকারী কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে অপকারী কোলেস্টরলের মাত্রা কমানো সম্ভব। এ ছাড়া এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, যা ‘টাইপ টু ডায়াবিটিস’-এর আশঙ্কা কমায়। ডায়াবিটিসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হৃদরোগের আশঙ্কা দেখা যায়, রোজ কাঠবাদাম খেলে সেই ঝুঁকিও কমবে।
কী ভাবে খাবেন?
সারা রাত একটি পাত্রে জল দিয়ে কাঠবাদাম ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর সকালে উঠে খালি পেটে খেয়ে নিন। এ ছাড়াও ওটসের নানা পদের সঙ্গে কাঠবাদাম খেতে পারেন। পাঁউরুটির টোস্ট খেলে উপরে গুঁড়ো করে কাঠবাদাম ছড়িয়ে দিতে পারেন। এমনকি ঘুরতে-ফিরতে মাঝে-মাঝে টুকটাক মুখে পুরে দিন। আবার স্যালাড তৈরি করে তার উপরে ছড়িয়েও খেতে পারেন। কাঠবাদাম উচ্চ ক্যালোরিযুক্ত খাবার হলেও একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে ওজন বাড়ে না। ডায়াবিটিসের প্রবণতা কমাতে প্রতিদিন অন্তত ৮টা করে কাঠবাদাম খাওয়া দরকার। সকালে ৪টে ও সন্ধেবেলা ৪টে এই ভাবেও খেতে পারেন।