প্রতীকী ছবি।
অতিরিক্ত ওজন বেড়ে গিয়েছে। কিন্তু কমাতে চান চটজলদি। তাই ভাত-রুটি খাওয়া কমিয়ে দিলেন। পন্থাটা বেশ প্রচলিত। কিন্তু অনেকে যখন বলেন যে এই তথাকথিত ‘লো-কার্ব ডায়েট’-এ প্রচুর ফ্যাট থাকায় তা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়, তখন ভয় হয়। তবে আশঙ্কাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে সাম্প্রতিক গবেষণা। সেটি জানাচ্ছে, এই ডায়েটে হৃদ্রোগ হওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই না, উল্টে এটি হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখে!
কী বলছে গবেষণা?
আমেরিকায় হওয়া এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁদের স্থূলতার সমস্যা রয়েছে, তাঁরা যদি খাবারে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে ফ্যাটের পরিমাণ বাড়ান, তা হলে তা ওজন ঝরাবে। সেই সঙ্গে অবশ্য তাঁদের পাতে রাখতে হবে তাজা ফল, সব্জি, বাদাম, মটরশুঁটি, ডালও। ফ্যাটযুক্ত খাবার কম খেয়ে কার্বোহাইড্রেট বেশি খেলে বরং বাড়তে পারে হৃদ্রোগের ঝুঁকি। ভাত-রুটি কম খাওয়ার সঙ্গে খেতে হবে মাখন, দুধ ও রেড মিটের মতো ফ্যাট।
কী উপকার এই ডায়েটের?
আমাদের দেশে বেশির ভাগ মানুষই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার থেকেই প্রতিদিন প্রায় ৫০ শতাংশ ক্যালোরি গ্রহণ করেন। কিন্তু সমীক্ষা বলছে ‘লো-কার্ব ডায়েট’ করার ফলে শরীরে লাইপোপ্রোটিনের পরিমাণ কমে যায়। এই লাইপোপ্রোটিন বেশি থাকলে স্ট্রোক বা হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এই ডায়েট টাইপ টু ডায়াবিটিসের ঝুঁকিও কমায়। এমনকি, যে ট্রাইগ্লিসারাইডের বৃদ্ধি সরাসরি হৃদ্রোগের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই খাদ্যাভ্যাস। তাই কার্বোহাইড্রেট খাওয়া কমিয়ে শরীর সুস্থ রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন গবেষকরা।