প্রতীকী ছবি।
বর্ষা মানেই কি শুধু বৃষ্টিভেজা ফুরফুরে দিন? আর খাওয়ার টেবিলে খিচুড়ি-ডিম ভাজা?
এই মরসুমের নানা রূপ আছে। রোজের জীবনে তার প্রভাবও পড়ে বিভিন্ন ভাবে।
বর্ষাকালে আর্দ্রতা বাড়ে। তার প্রভাব পড়ে চুলের উপরেও। অল্প সময়ের মধ্যেই চটচটে হয়ে যায়। খুশকির সমস্যাও বাড়ে।
চুল পড়ার সমস্যাও প্রায় দ্বিগুণ হয় এই মরসুমে। ফলে এই সময়টি চুলের জন্য সবচেয়ে সঙ্কটজনক বললেও ভুল নেই তাতে। বৃষ্টিভেজা এই কয়েকটি মাস বিশেষ ভাবে নিতেই হবে চুলের যত্ন।
নানা উপায়ের কথা হয়ে থাকে চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে। তবে যে অভ্যাসটি প্রায় ভুলতে বসেছেন সকলে, তা ফিরিয়ে আনলেই যে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।
ঠিকই ধরেছেন। স্নানের আগের নারকেল তেল দিয়ে মিনিট দশের মাসাজ। তাতেই চুল থাকতে পারে তরতাজা। ঠিক যেমন ছোটবেলায় মা-ঠাকুরমা করতেন, তেমন।
তেল মাথায় নিয়ে বেরোতে হবে না। শ্যাম্পু দেওয়ার আগে যদি নারকেল তেল দিয়ে মাসাজ করে নেওয়া যায়, তবে তা কন্ডিশনারের কাজ করে। শুধু চুল নয়, মাথার তালুও যত্নে থাকে। শ্যাম্পুর পরে কন্ডিশনার দেওয়ার একটা অসুবিধাজনক দিক আছে এই সময়ে। কন্ডিশনার যদি ভাল ভাবে না ধোয়া হয়, তবে চটচটে হয়ে যেতে পারে চুল। তাই নারকেল তেল দিয়ে আগেই সে কাজ সেরে ফেলা ভাল।
বর্ষাকালে চুলে নিয়মিত নারকেল তেল ব্যবহার করলে শুষ্ক ভাব কমে। ফলে চুল পড়ার সমস্যায় খানিকটা নিয়ন্ত্রিত হয়।
ভাল ভাবে মাসাজ করা গেলে খুশকির সমস্যাও কমতে থাকে।
নারকেল তেল দিয়ে মাথা মাসাজ করার পরে গরম জলে স্নান করুন। তাতে সবচেয়ে ভাল ফল মেলে।