৮৭ বছর বয়সি এক মহিলা ১৮১তে ফোন করে তাঁর ৮৯ বছর বয়সি স্বামীর নামে অভিযোগ করেন। ছবি-প্রতীকী
অভয়ম হেল্পলাইন নম্বরে আসা এক ফোনে এক মহিলার আর্জি শুনে বাক্রুদ্ধ সরকারি কর্মীরা। ৮৭ বছর বয়সি এক মহিলা ১৮১তে ফোন করে তাঁর ৮৯ বছর বয়সি স্বামীর নামে অভিযোগ করেন। তিনি জানান তাঁর স্বামীর যৌন আসক্তির জ্বালায় তিনি অতিষ্ঠ!
১৮১-একটি সর্বজনীন হেল্পলাইন নম্বর যেখানে এক বার ফোন করলেই দুর্দশাগ্রস্ত মহিলারা চিকিৎসা, আশ্রয়, আইনি পরামর্শের মতো নানা সুবিধা পেতে পারেন। যে সব মহিলার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়, তাঁদের সাহায্য করতেই সরকারি উদ্যোগে চালু করা হয়েছিল অভয়ম হেল্পলাইন নম্বর।
এক সরকারি কর্মী সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রৌঢ়া প্রায়ই অসুস্থ থাকেন, তাই তিনি স্বামীর যৌন চাহিদা পূরণ করতে পারেন না। তবুও তাঁর স্বামী তাঁকে সব সময় বাধ্য করেন মিলনের জন্য।
সরকারি কর্মী আরও বলেন, এক বছর আগে পর্যন্তও এই দম্পতির মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক নিয়ে কোনও বিরোধ ছিল না। তাঁদের মধ্যে সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল। তবে এক বছর ধরে মহিলা বেশ অসুস্থ, প্রায় শয্যাশায়ী বললেও চলে। ছেলে বউমার সাহায্য ছাড়া তিনি কথা বলতে বা চলতে ফিরতেও পারেন না। মহিলার স্বামী তাঁর শারীরিক অসুস্থতার ব্যাপারটা সবটাই জানেন। তবুও তিনি মহিলাকে মিলনের জন্য বাধ্য করেন।
মহিলার স্বামী এক জন অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার। শারীরিক মিলনের জন্য স্ত্রী সম্মতি না দিলেই তাঁর আচরণ হঠাৎ করে বদলে যায়। তিনি স্ত্রী ও ছেলের উপর চিৎকার করতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকারে পাড়ার লোকজনেরও সমস্যা হয়।
অভয়মের সদস্যরা মহিলার অভিযোগে সাড়া দিয়ে তাঁর স্বামীর কাউন্সিলিং শুরু করে। মানসিক তৃপ্তির জন্য তাঁকে যোগাসন ও প্রাণায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অভয়মের সদস্যরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির আরও কাউন্সিলিংয়ের প্রয়োজন। তাঁকে যৌনতা বিষয়ে অভিজ্ঞ মনোবিদের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।