Fruits and Vegetables

পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে গেলে দামি সব্জি বা ফল খেলেই হবে না, জানতে হবে খাওয়ার পদ্ধতিও

ফল, শাকসব্জি না খেলে শরীরে পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছবে না। এ ধারণা ঠিক। তবে খাওয়ার পদ্ধতির উপর পুষ্টিগুণের অনেকটাই যে নির্ভর করে, তা হয়তো জানেন না।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:২১
Fruits and vegetables you should never peel before eating

ফল, সব্জির খোসা ছাড়ানো উচিত নয়? ছবি: সংগৃহীত।

মাছ-মাংসের সঙ্গে ডায়েটে প্রতি দিনই পর্যাপ্ত পরিমাণ সবুজ শাক-সব্জি এবং স্যালাড খাচ্ছেন। তা সত্ত্বেও শরীর-স্বাস্থ্যে তার কোনও প্রভাব পড়ছে না! জানেন, কেন এমন হচ্ছে? উত্তরটা শুনে অনেকেই অবাক হতে পারেন। তরিতরকারি বা ফলের খোসা ছাড়ানোর জন্যই এমনটা হচ্ছে বলে মত পুষ্টিবিদদের। তাঁদের মতে, এমন কয়েকটি সব্জি ও ফল আছে, যা খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা বা খাওয়া উচিত নয়। খোসাতেই নাকি তার বেশির ভাগ পুষ্টিগুণ রয়েছে। দেখে নিন, সেগুলি কী কী।

Advertisement

১) আপেল

হজমের গোলমাল হয় বলে অনেকেই আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খান। আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। খোসা ছাড়ালে তা বেরিয়ে যায়। আপেলের খোসার মধ্যে ভিটামিন সি-সহ ট্রিটারপেনয়েডস রয়েছে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী।

২) শসা

শসার খোসায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে ইমিউনিটি বাড়াতে বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে খুবই কাজে দেয় শসা। কিন্তু বেশির ভাগ গিন্নিই কিন্তু স্যালাড তৈরির সময় শসার খোসা বাদ দিয়ে দেন।

৩) আলু

আমাদের দেশে তো বটেই, আলুর খোসা ছাড়িয়ে খাওয়ার অভ্যেস রয়েছে বিদেশি হেঁশেলেও। পোট্যাটো স্যালাড বা ম্যাশড্ পোট্যাটো তৈরি করতে যে সিদ্ধ আলুর খোসা ছাড়ানো হয়, তা জানেন নিশ্চয়ই। এটা কিন্তু মোটেই কাজের কথা নয়। আলুর মধ্যে যে ভিটামিন ‘বি’ বা মিনারেল রয়েছে, তার ২০ শতাংশই থাকে খোসার মধ্যে। এমনকি, সমস্ত ফাইবারও থাকে আলুর খোসার মধ্যেই। ফলে খোসা ছাড়ালে আলুর পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়।

Fruits and vegetables you should never peel before eating

খোসা ছাড়ানো গাজর খেলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। ছবি: সংগৃহীত।

৪) গাজর

শসার মতো গাজরেরও সমস্ত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে তার খোসাতে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো গাজর খেলে তার পুষ্টিগুণ কমে যায়। খোসা না ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে গাজর রান্না করা উচিত।

৫) বেগুন

বেগুনের খোসায় নাসুনিন নামের একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। কোষের ক্ষয়ক্ষতি রুখতে এবং বিভিন্ন বয়সজনিত অসুখবিসুখে এটি খুবই কার্যকর। ফলে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে খেলে তা কিন্তু অ্যান্টি-এজিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইতে আপনাকে অনেকটাই পিছিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন
Advertisement