কোন ভুলে মেদ ঝরছে না? ছবি: সংগৃহীত।
পুজোর আগে মেদ ঝরাবেন বলে শরীরচর্চায় মন দিয়েছেন। সঙ্গে পুষ্টিবিদের থেকে খাবারের তালিকাও তৈরি করে এনেছেন। তবে তিনি জানিয়েছেন, কী খাচ্ছেন তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, কখন খাচ্ছেন এবং পরিমাণে কতটা খাচ্ছেন। তাই কোনও দিন সকালের জলখাবার যদি একটু বেশি খাওয়া হয়ে যায়, সে ক্ষেত্রে দুপুরে অফিসে আর কিছুই খাচ্ছেন না। বিকেল বা সন্ধেবেলা সামান্য কিছু খেয়ে কাজ চালিয়ে, রাতে বাড়ি ফিরে একেবারে অনেকটা পরিমাণে খাবার খেয়ে ফেলছেন। ভাবছেন, এতেই পুজোর আগে ছিপছিপে হয়ে উঠতে পারবেন। খাবার বিষয়ে এমন কয়েকটি ভুলই শরীর থেকে মেদ ঝরানোর পথে বাধা হয়ে দাড়াচ্ছে।
১) দুপুরের খাবার না খাওয়া
দ্রুত মেদ ঝরাতে গেলে ক্যালোরি বাদ দিতে হবে। তাই সকালে জলখাবার খাওয়ার পর আর কিছুই খাচ্ছেন না। কিন্তু সন্ধেবেলা খিদে পাচ্ছে বলে হয়তো পরিমাণে অনেকটা খেয়ে ফেললেন। তাতে কিন্তু আদতে ক্ষতিই হচ্ছে। তাই সারা দিনে অল্প অল্প করে খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা।
২) তাড়াতাড়ি খাবার খাওয়া
হাতে সময় কম। তাই তাড়াতাড়ি খাবার খেয়ে আবার নিজের কাজে মন দিলেন। কিছু ক্ষণ বাদেই গলা-বুক জ্বালা করতে আরম্ভ করল। কারণ, তাড়াহুড়ো করে খাওয়ার ফলে খাবার ভাল করে চিবিয়ে খাওয়া হয়নি। হজমেও সমস্যা হয়েছে।
৩) প্রক্রিয়াজাত খাবারের প্রতি ঝোঁক
ভাত, রুটি খেলে কার্বোহাইড্রেট বেশি। তাই সেই সব বাদ দিয়ে যদি প্যাকেটজাত, প্রিজ়ারভেটিভ দেওয়া বা হিমায়িত, কৃত্রিম চিনি দেওয়া খাবার খেলেও মেদ ঝরানোর সাধ অপূর্ণ থেকে যাবে।
৪) পরিমাণ না বুঝে খাওয়া
কখনও বেশি খেয়ে ফেলার প্রবণতা আবার কখনও একেবারেই কিছু না খেয়ে থাকা— শরীরের জন্য দুটোই ক্ষতিকর। ভাল খাবার চোখের সামনে থাকলেও সব সময়ে অল্প পরিমাণে খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পরিমাণ বুঝতে না পারলে প্রয়োজনে ছোট প্লেটে খাওয়ার চেষ্টা করুন।
৫) কাজ করতে করতে খাওয়া
কর্মব্যস্ত জীবনে আলাদা করে খাওয়ার জন্য সময় বার করতে পারেন না। তাই কাজ করতে করতে সেই টেবিলে বসেই বেশির ভাগ খাবার খেয়ে থাকেন। এই অভ্যাসের ফলে নিজেদের অজান্তেই খাবার খাওয়ার আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পাশাপাশি, খাবারের পরিমাণের উপরেও লাগাম থাকছে না।