আমের খোসা খাবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।
পাকা আম বেশি খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু গরমে একেবারে আম না খেলেও নয়। আমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, ফোলেট, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়ামের মতো উপাদান। এ ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, ক্যারোটিনয়েডস এবং পলিফেনল। যা হার্ট ভাল রাখে। ক্যানসারও রুখে দিতে পারে। তবে, ২০০৮ সালের একটি গবেষণাপত্র থেকে জানা যায় আমের মতো এই ফলের খোসাটিও না কি সমান উপকারী। আমের খোসায় রয়েছে লেপ্টিন নামের একটি উপাদান, যা রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও পারে এমন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে আমের খোসা। কিন্তু ফলের খোসাটি খাবেন কী ভাবে?
১) আমের খোসা দিয়ে চা
চায়ের পাতার সঙ্গে এখন নানা ধরনের ফুলের পাপড়ি মিশিয়ে খাওয়ার চল হয়েছে। যাঁরা চা থেকে ভালবাসেন বা এই পানীয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন তাঁদের কাছে আমের খোসা দিয়ে তৈরি চায়েরও বিশেষ কদর রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই পানীয় শরীরের জন্যেও ভাল। আমের শাঁস-সহ খোসা ভাল করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। তার পর ছোট ছোট টুকরো করে চায়ের পাতার সঙ্গে সেগুলিকে মিশিয়ে রাখুন। জলে ভাল করে ফুটিয়ে নিলেই ‘ম্যাঙ্গো টি’ তৈরি। চাইলে এই পানীয়ে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও মিশিয়ে নিতে পারেন।
২) আমের খোসা দিয়ে আচার
শুধু কাঁচা নয়, রোদে শুকিয়ে নেওয়া আমের খোসা দিয়েও আচার তৈরি করা যায়। ভিনিগার, নুন, চিনির সঙ্গে হরেক রকম মশলা দিয়ে কাচের শিশিতে ভরে রাখুন। কয়েক সপ্তাহ মজিয়ে নিলেই আচার রেডি। ভাত, পরোটা কিংবা খিচুড়ি দিয়ে খেতেই ভাল লাগে।
৩) আমের খোসার স্ক্রাব
পাকা আমের খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে রাখা যেতে পারে। চালের গুঁড়ো, ওটমিল কিংবা আটার মতোই এই ফলের খোসা গুঁড়ো এক্সফোলিয়েটর হিসেবে দারুণ কাজ করে। আমের খোসায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।