Stress Management

মনের কথা কাউকে খুলে বলতে পারছেন না? উদ্বেগ কাটাতে কী করবেন?

শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে আমরা চিকিৎসকের কাছে ছুটি, তবে মানসিক কোনও সমস্যা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকে। এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাসের উপর।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৭:১৫

—প্রতীকী ছবি।

সরকারি-বেসরকারি যে যেমন সংস্থাতেই কাজ করুন না কেন, মানসিক টানাপড়েনের মধ্যে দিয়ে কম-বেশি সকলকেই যেতে হয়। তার উপর রয়েছে সংসারের চিন্তা। কপালে চিন্তার ভাঁজ যতই বাড়বে, ততই তার প্রভাব পড়বে শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর। শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে আমরা সময় নষ্ট না করেই চিকিৎসকের কাছে ছুটি, তবে মানসিক কোনও সমস্যা নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না অনেকে। কিন্তু এই চাপ বাড়তে থাকলে তার প্রভাব পড়ে ব্যক্তিগত জীবনেও। বাড়তে থাকে অনিদ্রাজনিত সমস্যা। দীর্ঘ দিন ধরে চলতে থাকা এই সমস্যাগুলির সঙ্গে মোকাবিলা করতে ওষুধ নয়, ভরসা রাখুন দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিক কিছু অভ্যাসের উপর।

Advertisement

মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবেন কী করে?

১) শরীরচর্চা: নিয়ম করে শরীরচর্চা করলে শরীরে ‘এন্ডরফিন’ হরমোনের মাত্রা স্বাভাবিক হয়। যা মন ভাল রাখতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হালকা ব্যায়াম, কার্ডিয়ো, যোগাসন, প্রাণায়াম মানসিক ক্লান্তি কমিয়ে মন-মেজাজ চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে।

২) পর্যাপ্ত ঘুম: রাত জাগার অভ্যাস থাকলে এখনই সেই অভ্যাসে বদল আনতে হবে। প্রতি দিন অন্তত পক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘণ্টা না ঘুমোলে মানসিক চাপ কিছুতেই কমবে না। সারা দিনের কাজের পর শরীর এবং মনকে নতুন করে কর্মোপযোগী করে তুলতে পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।

৩) স্বাস্থ্যকর খাবার: মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে খাবারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই প্রতি দিনের খাবারে টাটকা শাক-সব্জি, ফল, দানাশস্য রাখার চেষ্টা করুন। ক্যাফিনজাতীয় খাবার, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলাই ভাল।

৪) শরীরকে আর্দ্র রাখা: বিশেষ কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকলে সারা দিনে আড়াই থেকে তিন লিটার জল খেতে হবে। জল কম খাওয়ার সঙ্গে অন্যান্য রোগের সরাসরি যোগ আছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মতে, মানসিক চাপ বেড়ে যাওয়ার পিছনে এটিও একটি বড় কারণ।

৫) কথা বলা জরুরি: সমাজমাধ্যমের ব্যাপক রমরমার মাঝে আমরা সামাজিক জীবন থেকে ক্রমশ নিজেদের গুটিয়ে আনছি। প্রাণের কোনও বন্ধুর সঙ্গে মন খুলে কথা বলার মতো সময় নেই আমাদের কাছে। কোনও বড় সমস্যা হলে নিজের মনে রেখে দেওয়ার কারণে অস্বস্তি আরও বাড়ছে। তাই ফোনের সঙ্গে নয়, কাছের মানুষের সঙ্গে বেশি করে সময় কাটান।

আরও পড়ুন
Advertisement