দাঁতের এমন অবস্থায় সঙ্গীর কাছাকাছি যেতে সঙ্কোচ হতেই পারে। — প্রতীকী চিত্র।
পুজোয় বিশেষ মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে বেরোবেন। কিন্তু তার আগে দাঁতের চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাননি। এ দিকে নিয়মিত ধূমপান করে, পান-মশলা খেয়ে দাঁতের বারোটা বেজে গিয়েছে। মাড়ির অবস্থাও খুব ভাল নয়। এই অবস্থায় সঙ্গীর কাছাকাছি যেতে সঙ্কোচ হতেই পারে। মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করতেই পারেন। কিন্তু তা ব্যবহারে শুধু মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে। দাঁতের হলুদ ছোপ উঠবে না। তবে আয়ুর্বেদে এমন এক পদ্ধতি রয়েছে, যা দাঁতের হলদে ছোপ তোলা এবং মাড়ির যত্ন— দু’টি কাজই অনায়াসে করে ফেলতে পারে। তেল দিয়ে কুলকুচি করার এই পদ্ধতি বিদেশে ‘অয়েল পুলিং’ নামে পরিচিত।
কোন কোন তেল দিয়ে অয়েল পুলিং করা যায়?
১) নারকেল তেল
চুল, ত্বক থেকে দাঁত— এক তেলেই ঝকঝকে হয়ে উঠতে পারে। মুখের দুর্গন্ধ দূর করা থেকে দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখা, সবই করে ফেলতে পারেন নারকেল তেল দিয়ে। নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে লরিক অ্যাসিড, যা আসলে মধ্যমানের এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মুখের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
২) তিলের তেল
অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল যৌগ ছাড়াও তিলের তেলে রয়েছে ভিটামিন ই, লিনোলেইক অ্যাসিড এবং প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ফ্যাটি অ্যাসিড। এই সমস্ত উপাদান মাড়ির যাবতীয় সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। মাড়ির স্নায়ু স্পর্শকাতর হয়ে পড়লেও তিলের তেল তা নিরাময়ে সাহায্য করে।
৩) অলিভ অয়েল
স্বাস্থ্যকর মানুষেরা বিভিন্ন খাবারে, স্যালাডে অলিভ অয়েল ব্যবহার করে থাকেন। ওই একই তেল দিয়ে কুলকুচিও করা যায়। অলিভ অয়েলে রয়েছে পলিফেনল এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা প্রদাহ নাশ করতে সাহায্য করে।
৪) সূর্যমুখীর তেল
নারকেল তেল, কিংবা তিলের তেল বাদ দিয়ে কুলকুচির কাজে সূর্যমুখীর তেল ব্যবহার করার রেওয়াজ খুব প্রচলিত নয়। তবে ভিটামিন ই এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে ভরপুর এই তেল দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে।
৫) ঘি
অয়েল পুলিং-এ ব্যবহৃত বহু পুরনো একটি উপাদান হল ঘি। ঘিয়ের অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ, মুখের ভিতরের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ক্ষয়ে যাওয়া দাঁত এবং মাড়ির যত্নে ব্যবহার করা যেতেই পারে ঘি। দাঁতের হলদে ছোপ এবং মাড়ির স্বাস্থ্য— দুই দিকই রক্ষা হবে এতে।