গিজ়ার ব্যবহারের সাত-সতেরো। ছবি: সংগৃহীত।
গরম জল ছাড়া শীতকালে স্নান করার কথা ভাবাই যায় না। গ্যাসে জল গরম করে কিংবা বালতির মধ্যে লোহার রড ডুবিয়ে জল গরম করাই যায়। তবে এই সব ঝক্কির থেকে বাঁচতে অনেকেই স্নানঘরে গিজ়ার লাগান। কিন্তু স্নান করতে করতে গরম জল শেষ হয়ে গেলে ওই অবস্থায় স্নানঘর থেকে বেরিয়ে আবার সুইচ দিতে ছুটতে হয়। সেখান থেকে বিপদের আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তবে অনেকেই আবার ‘অটোমেটিক’ গিজ়ার কেনেন। কিন্তু স্নানের ক্ষেত্রে কোনটি নিরাপদ? কেনার আগে কোন কোন বিষয় মাথায় রাখতে হবে, তা জানেন কি?
১) নতুন ধরনের সব কটি গিজ়ারই ‘অটোমেটিক’ প্রযুক্তি সম্পন্ন। অর্থাৎ জল গরম হয়ে গেলে নিজে থেকেই সেই যন্ত্র কাজ করা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু পুরনো আমলের গিজ়ারে এই ব্যবস্থা থাকে না। ফলে স্নান করতে করতে গিজ়ার বন্ধ করার জন্য স্নানঘরের বাইরে আসতে হয়। ভিজে হাত সুইচে দিলে বিপদের আশঙ্কা থেকেই যায়।
২) হিটার বা গিজ়ার থেকে উৎপন্ন কার্বন মোনো-অক্সাইড যে প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, সে কথা অনেকেই জানেন। তাই স্নানঘরে হিটার বা গিজ়ার থাকলে পর্যাপ্ত ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। প্রয়োজনে শৌচাগারে এগজ়স্ট ফ্যানও লাগানো যেতে পারে।
৩) যে সংস্থারই গিজ়ার কিনুন না কেন, কেনার আগে অবশ্যই ‘আইএসআই’ চিহ্ন দেখে নিতে হবে। পয়সা সাশ্রয়ের জন্য অনামী কোনও সংস্থার গিজ়ার না কেনাই ভাল।
৪) যে সংস্থারই হিটার বা গিজ়ার কিনুন না কেন, তা ‘ইনস্টল’ করার জন্য ওই সংস্থার কর্মীদের উপর ভরসা করতে হয়। চাহিদা বেশি থাকায় কর্মীরা সময় মতো সেই পরিষেবা দিতে পারেন না। তাই বলে নিজে হাতে গিজ়ার লাগাতে যাবেন না। গিজ়ার বা হিটার লাগানোর পদ্ধতিতে ভুল হলে যে কোনও সময়েই বিপদ ঘনিয়ে আসতে পারে।
৫) গিজ়ারের সুইচ দিয়ে ভুলে যাওয়া কিংবা অনেক দিন বন্ধ থাকার পর হঠাৎ তা ব্যবহার করতে শুরু করা— বিপদ যে কোনও দিক থেকেই আসতে পারে। সুতরাং বিপদ এড়াতে সতর্ক থাকাই বাঞ্ছনীয়।