ছুটির দিন শুধুই ঘুমোতে ইচ্ছে করে। আবার, শুতে গেলেই মনে হয়, কত কী করা হল না। ছবি: সংগৃহীত।
‘ও গানওয়ালা, আর একটা গান গাও... আমার আর কোথাও যাওয়ার নেই, কিচ্ছু করার নেই।’ শীতের অলস দুপুরে কবীর সুমনের গাওয়া সেই গান শুনলেই ফেলে আসা দিনের কথা মনে পড়ে। কী সুন্দরই না ছিল সেই দিনগুলো! স্মৃতি রোমন্থন করতে গেলেও তো হাতে বিস্তর সময় থাকা চাই। কিন্তু ব্যস্ত জীবন থেকে একটু সময় বার করতে পারলে, তো বিছানায় গড়িয়েই কাটিয়ে দিতে ইচ্ছে করে। আবার, শুতে গেলেই মনে হয়, কত কী করা হল না। আক্ষেপ না করে অবসর সময়ে করতে পারেন বেশ কয়েকটি কাজ।
১) প্রকৃতিকে আবিষ্কার করুন
ব্যস্ত জীবনের বেশির ভাগ সময় কেটে যায় অফিসেই। বাড়ির আশপাশেই যে কত কী দেখার রয়েছে, তা চোখেই পড়েনি। যাতায়াতের পথে মনোরম কত দৃশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন। ছুটির দিন হাতে একটু সময় পেলে, পাড়ার আনাচকানাচে ঢুঁ দিতেই পারেন।
২) বই পড়তে পারেন
স্কুল, কলেজ তার পর চাকরির পড়াশোনা করতেই অনেকটা সময় কেটে গিয়েছে। আলাদা করে বই পড়া হয়ে ওঠেনি। অথচ দেশ-বিদেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য জানতে গেলে বই পড়তেই হবে। হাতে বই নিয়ে পড়তে ইচ্ছে না করলে, কানে শুনতেও পারেন। বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে খুব সহজেই অডিয়োবুক পাওয়া যায়।
৩) শরীরচর্চাও করা যায়
কাজের ফাঁকে চুপ করে বসে না থেকে একটু শরীরচর্চা করতে পারেন। সব সময়ে যে জিমে গিয়েই ঘাম ঝরাতে হবে, এমনটা নয়। অনলাইনে শরীরচর্চার বিভিন্ন রকম ভিডিয়ো পাওয়া যায়। নিজের আয়ত্তের মধ্যে যেটুকু করা যায়, সহজেই করতে পারেন। না হলে হাঁটতে পারেন, সাঁতার কাটতে পারেন, সাইকেলও চালাতে পারেন।
৪) নতুন কিছু শিখতে পারেন
শেখার তো শেষ নেই। পড়াশোনা শেষ হয়ে গিয়েছে বলে, আর কিছু শেখার দরকার নেই, এমন নয়। হেঁশেলের কাজকর্ম, রূপচর্চা, নতুন ভাষা, গাছের পরিচর্চা— সবই শিখতে পারেন অনলাইনে।
৫) সিনেমা বা সিরিজ় দেখতে পারেন
আগে যেমন প্রেক্ষাগৃহ এবং টিভি ছাড়া সিনেমা দেখা যেত না, এখন আর বিষয়টা তেমন নয়। হাতের মুঠোয় বন্দি ফোনে ইন্টারনেট থাকলেই হল। পুরনো থেকে নতুন— যে কোনও ছবি দেখতে পারেন। চাইলে ছোটবেলার ফেলে আসা কার্টুন, সিরিয়াল, গেম শো, এমনকি বিজ্ঞাপনও— ছুঁয়ে দেখে আসতে পারেন।
এ সবের বাইরে আরও একটি ‘কাজ’ থেকে যায়। অবশ্য তাকে যদি ‘কাজ’ বলেন তবেই। সেটি হল আলস্য। কিছু না কিছু কাজের মধ্যে কেটে যায় মানবজীবন। আলস্য সেই সমস্ত কাজ থেকে ছুটি। কিছু না করে শুধু ভাবনার রাশ আলগা করে শুয়ে বা বসে থাকারও প্রয়োজন রয়েছে জীবনে— এমন কথা বলে গিয়েছেন বহু চিন্তাবিদ, লেখক, কবি। এই আলস্যের অলিগলিতেই হয়তো ‘নিজের সঙ্গে দেখা’ হয়ে যেতে পারে। সেটাও তো কম পাওনা নয়!