Himachal Pradesh

হিমাচলে ৪০ বছর পরে ‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’

‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ পালনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দড়ি-ঝোলা। দুই পাহাড়ের মাথায় বাঁধা হয় দড়ি। দু’দিকের মানুষ তা হাতে ধরে থাকেন। ওই দড়ি বেয়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছন ‘জেদি’ বা ভক্ত।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১৭
ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ নামে অনুষ্ঠানটি ৪০ বছর পর পর উদ্‌যাপিত হয়।

ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ নামে অনুষ্ঠানটি ৪০ বছর পর পর উদ্‌যাপিত হয়। ছবি: পিটিআই।

হিমাচল প্রদেশের শিমলায় শতাব্দী প্রাচীন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আজ ছিল শেষ দিন। ‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ নামে অনুষ্ঠানটি ৪০ বছর পর পর উদ্‌যাপিত হয়। এ বছর তা ২ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। শিমলার রোহরু এলাকায় বেদা সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই অনুষ্ঠানটিকে খুব পবিত্র বলে মানেন। অপরিসীম নিষ্ঠার সঙ্গে সেটি উদ্‌যাপন করে। চার দিনের অনুষ্ঠানে আজ ছিল শেষ দিন। স্থানীয়দের বিশ্বাস, রোহরুর দেবতা বাকরালু এ দিন অন্য দেবতাদের আমন্ত্রণ জানান। পাহাড়ি পথ পেয়ে দেবমূর্তিদের পালকিতে চাপিয়ে মিছিল বার হয়। মিছিলের বাজনায় চর্তুদিকে ছড়িয়ে পড়ে পবিত্র সুর।

Advertisement

‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞ’ পালনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ দড়ি-ঝোলা। দুই পাহাড়ের মাথায় বাঁধা হয় দড়ি। দু’দিকের মানুষ তা হাতে ধরে থাকেন। ওই দড়ি বেয়ে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছন ‘জেদি’ বা ভক্ত। আজ ৬৫ বছরের সুরত রাম দড়ি বেয়ে পার হলেন রোহরুর পবিত্র ‘মৃত্যু উপত্যকা’। সেই অনুষ্ঠান দেখতে হাজির হয়েছিলেন শয়ে শয়ে মানুষ। এসেছিলেন হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিংহ সুখুও। দড়ি বেড়ে উপত্যকা পার হতে গিয়ে আচমকা বিপত্তি বাধে। সুরতের অপর প্রান্তে থাকা দড়ির টান কোনও ভাবে আলগা হয়ে পড়ে। তবে সকলের সাহায্যে পরিস্থিতি সামলে নেওয়া গিয়েছে। সেই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এই দড়িটির নাম মুঞ্জি। বিশেষ এক ধরনের ঘাস দিয়ে প্রায় আড়াই মাস ধরে চার জনের সাহায্য দড়িটি বানিয়েছেন সুরত। অনুষ্ঠানের আগে সেটি তেলে ভেজানো হয়। আজ থেকে ৪০ বছর আগে, ১৯৮৫ সালের ‘ভুন্ডা মহাযজ্ঞেও’ জেদি হয়েছিলেন এই সুরত রাম। সে বারও কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছিল।

তবে এ বছর তৈরি ছিল প্রশাসন। দক্ষ ভাবে ভিড় সামলেছে পুলিশ। ভক্তদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার আগাম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

Advertisement
আরও পড়ুন