ঝামেলা ছাড়াই ট্যাটু করান। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক দিন থেকেই ট্যাটু করানোর শখ। কিন্তু ব্যথার ভয়ে কিছুতেই সাহস করে উঠতে পারছিলেন না। যত ছোট আকারের ট্যাটুই করান না কেন, সংক্রমণের ভয়ও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে অনেকের কাছেই শুনেছেন নাক, কান বেঁধানোর মতো শীতকালে ট্যাটু করালেও নাকি সংক্রমণের ভয় কম। তবে ট্যাটুশিল্পীরা বলেন, ট্যাটু করালেই যে সংক্রমণ হবে, এমনটা নয়। শীতকালে ট্যাটু করানোর সুবিধা হল, যে কোনও ধরনের ক্ষত এই সময়ে তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায়। তবে, বছরের যে সময়েই ট্যাটু করান না কেন, ট্যাটু করার পদ্ধতি এবং নিজের ত্বক সম্বন্ধে বিস্তারিত জেনে-বুঝে তবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ট্যাটু করানোর আগে এবং পরে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে ট্যাটু নিয়ে খুব একটা ঝক্কিও পোহাতে হয় না।
ট্যাটু করার আগে বা পরে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) প্রথমত, ট্যাটু করানোর আগে খোঁজখবর নিন ট্যাটুশিল্পী এবং স্টুডিয়ো সম্পর্কে। পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে না পারলে কিন্তু সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই এই বিষয়ে একেবারে আনকোরা কোনও পার্লার বা সালোঁ বেছে নেওয়া কিন্তু ঠিক হবে না।
২) ট্যাটু করানোর আগে সঠিক ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। তাই ট্যাটু করানোর আগে পর্যাপ্ত জল খাওয়ার পরামর্শ দেন ট্যাটুশিল্পীরা। ত্বক নরম, আর্দ্র রাখতে বাইরে থেকে ময়শ্চারাইজ়ার মাখার প্রয়োজন রয়েছে।
৩) ত্বকে যদি কোনও রকম সানবার্ন থাকে, বা কেমিক্যাল পিলিং ট্রিটমেন্ট করানো থাকে, তার উপর সুচ ফুটিয়ে ট্যাটু করা কিন্তু বিপজ্জনক। ট্যাটু করানোর পর সেই জায়গায় সরাসরি রোদ লাগানো যায় না। তাই সেই বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে।
৪) প্রথম বার ট্যাটু করানোর ভয়, উত্তেজনায় অনেকেরই দু’চোখে ঘুম আসে না। এই অভ্যাস কিন্তু আপনাকে বিপদে ফেলতে পারে। রাতে ভাল ঘুম না হলে ট্যাটু আঁকার ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকোবে না, ব্যথাও থাকবে।
৫) ট্যাটু করানোর ৪৮ ঘণ্টা আগে বা পরে মদ বা অ্যালকোহল জাতীয় কোনও পানীয় খাওয়া যাবে না। অ্যালকোহলের মধ্যে যে স্পিরিট থাকে, তা রক্ত পাতলা করে দেয়। তাই সুচ ফোটানোর সময়ে অতিরিক্ত রক্তপাত হতেই পারে।