বিশ্বকাপের ময়দানে এই হয়তো শেষ বার খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: সংগৃহীত
পঞ্চম বার ফুটবল বিশ্বকাপ খেলছেন তিনি। বিশ্বকাপের ময়দানে এই হয়তো শেষ বার খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ফলে জান লড়িয়ে দিয়েছেন। ঘানার বিরুদ্ধে আগের ম্যাচটা কোনও মতে জিতে গিয়েছেন। পরবর্তী ম্যাচে রোনাল্ডোর দল উরুগুয়ের মুখোমুখি হতে চলেছে। সেই ম্যাচটি জিতে গেলেই অনেকটা চাপমুক্ত। ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বিতর্ক নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে রোনাল্ডোর উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গিয়েছিল, ঘানার বিরুদ্ধে গোল করে সেই চাপ কিছুটা হলে কমেছে। তবে গোল করেও খুশি নন তিনি। বয়স ৩৭। এই বয়সেও বিশ্বের অন্যতম ফিট ও শক্তিশালী ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে আন্তর্জাতিক ফুটবলে রাজত্ব করেও কোনও খেলার পরে তৃপ্ত হতে পারেন না তিনি।
নিজেকে ফিট রাখতে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন। ফিটনেস দুনিয়ায় এক নতুন দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন তিনি। সাধারণত ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময়ে মোট ২৩ হাজার ৫৫ কেজি তোলেন রোনাল্ডো। অর্থাৎ, প্রতি দিন প্রায় ১৬টি টয়োটো প্রিয়াস গাড়ি তোলেন রোনাল্ডো। শরীরের পেশির সৌন্দর্যের জন্য রোজ তিন হাজারটি ‘অ্যাব’ ব্যায়াম করেন তিনি। রোজকার এই শারীরিক কসরত ছাড়াও খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ম মেনে চলেন তিনি।
প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া
ফিট থাকতে শুধু শরীরচর্চা যথেষ্ট নয়। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়াও প্রয়োজন। রোনাল্ডো নিজেকে ফিট রাখতে তাই ভরসা রাখেন জলে। প্রতি দিন প্রচুর পরিমাণে জল খান তিনি। সুস্থ ও ফিট থাকার অন্যতম উপায় হল নিজেকে আর্দ্র রাখা। অ্যালকোহল, চিনিযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় থেকেও দূরে থাকেন রোনাল্ডো।
স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
রোনাল্ডোর প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ, মাংস, ডিমের মতো প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার থাকার পাশাপাশি অন্যান্য স্বাস্থ্যকর খাবারও থাকে। শাকসব্জি, ফল, বিভিন্ন ধরনের শস্যও থাকে রোনাল্ডোর রোজের খাদ্যতালিকায়।
উপোস নয়
শত ব্যস্ততা থাকলেও না খেয়ে থাকেন না রোনাল্ডো। খাবারের পরিমাণ অল্প থাকে। কিন্তু নিয়ম করে খাবার খেতে ভোলেন না তিনি। সারা দিনে অন্তত বার ছয়েক খাবার খান। তবে প্রতি বারই পরিমাণে অল্প সুষম খাদ্য থাকে।
খাবার থেকে বাদ চিনি
রোনাল্ডোর ফিটনেসের মূল মন্ত্র হল চিনি না খাওয়া। চিনি থেকে শত হস্ত দূরে থাকেন এই তারকা ফুটবলার। একান্তই মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে জল জাতীয় কোনও ফল খেয়ে নেন।