শরীরে জলের ঘাটতি নানা রকম শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। প্রতীকী ছবি।
সুস্থ থাকতে জলের ভূমিকা অনবদ্য। পুষ্টিবিদ থেকে চিকিৎসক— সকলেই একবাক্যে এ কথা স্বীকার করে থাকেন। ওজন কমানো থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে জলের গুরুত্ব নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ বার করে দিতে রোজ বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। শরীরে জলের ঘাটতি নানা রকম শারীরিক সমস্যার জন্ম দেয়। তাই জল খেতে ভুললে চলবে না। চিকিৎসকদের মতে, সারা দিনে অন্তত দু’লিটার জল খাওয়া জরুরি। এতে শরীরের অন্দরের সজীবতা বজায় থাকবে। কিন্তু সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, সারা দিনে দু’লিটার জল খাওয়া কিন্তু একান্ত জরুরি নয়। স্কটল্যান্ডের এবার্ডিন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দ্বারা গবেষণাটি পরিচালিত হয়েছে। তাঁদের মতে, দুই-আড়াই লিটার জল খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর নয়। তবে বাড়তি যে কোনও কিছুই অজান্তেই বিপদ ডেকে আনতে পারে।
গবেষণা জানাচ্ছে, প্রতি দিন প্রায় দেড় লিটার থেকে এক লিটার আটশো গ্রাম জল এক জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য যথেষ্ট। তবে কিছু ক্ষেত্রে একটু বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। শরীরের হাইড্রোজেন অণু জলের সংস্পর্শে এসে ‘ডিউটেরিয়াম’ নামক একটি উপাদানে রূপান্তরিত হয়। যা শরীরে ক্রিয়াকলাপ সচল রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু প্রয়োজনের অতিরিক্ত ডিউটোরিয়াম শরীরের ক্ষতি করতে পারে। তবে যাঁরা খুব আর্দ্র আবহাওয়ায় বসবাস করেন, ক্রীড়াবিদ,, অন্তঃসত্ত্বাকালীন অবস্থায় বেশি করে জল খাওয়া প্রয়োজন। ২০-৩৫ বছর বয়সি পুরুষদের প্রতি দিন ৪.২ লিটার জল খাওয়ার কথা বলা হয়। আর ২০-৪০ বছর বয়সি মহিলাদের ৩.৩ লিটার জল খাওয়া জরুরি বলে মনে করা হয়। গবেষণা বলছে, সারা দিনে যে খাবারগুলি খাওয়া হয়, তাতেও জলের পরিমাণ কম থাকে না। তারও হিসাব রাখা জরুরি। শরীরে জল প্রবেশ করা নিয়ে কথা। কী ভাবে যাচ্ছে, সেটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।