প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বাড়ি বসে কাজ করায় অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। তাঁরা এবার খানিক অস্বস্তিতে পড়েছেন। অনেকেরই যে ফের অফিস যাওয়ার নির্দেশ চলে এসেছে। কাউকে যেতে হবে সপ্তাহে কয়েক দিন। কাউকে আবার নিয়মিত। অফিস খুললেও করোনার চোখ রাঙানি কিন্তু থামেনি। আসন্ন তৃতীয় ঢেউ নিয়েও নিত্য চলছে নানা রকম জল্পনা। এর মাঝে ভিড়ে অফিস যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে কর্মীদের মধ্যে। কী করে সেটা কাটিয়ে কাজে মনোযোগ দিতে পারবেন, জেনে নিন।
১। নিজের সুরক্ষা নিজের হাতে, সেটা মাথায় রাখুন। সহকর্মীদের টিকাকরণ হয়েছে কি না, মাস্ক পরা, হাত স্যানিটাইজ করা, বসার জায়গায় স্যানিটাইজিং স্প্রে ব্যবহার করা নেওয়া, যতটা পারেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা— এগুলি নিজেকেই একটু খেয়াল রাখতে হবে। ঘন ঘন চা খেতে যাচ্ছেন? মাস্ক সঠিক ভাবে খোলা-পরা করুন। প্রয়োজনে দু’টো মাস্ক পরুন। নিজস্ব জলের বোতল ব্যবহার করুন। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যান।
২। কোনও বিষয়ে দুশ্চিন্তা হলে সেটা সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। প্রয়োজনে বস্কে জানান। খোঁজ নিন আপনার প্রতিষ্ঠানে ‘হাইব্রিড ওয়ার্ক স্টাইল’, মানে সপ্তাহে কয়েক দিন অফিস গেলেন, বাকি দিন বাড়ি থেকে কাজ করলেন, এই ব্যবস্থা চালু রয়েছে কি না।
৩। প্রয়োজনে যেমন কোভিডবিধি মেনে বাজারহাট করেন, কাজে আসাটাও সে ভাবেই দেখুন। অফিস আসছেন বলেই যে আপনি আর নিরাপদ নন, এই জাতীয় চিন্তা খুব বেশি মনে আনবেন না। বরং অনেক দিন পর সহকর্মীদের সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ হওয়ার কী কী ভাল দিক আছে, সেটা মনে করার চেষ্টা করুন।
৪। দীর্ঘ দিন বাড়ি থেকে কাজ করার অভ্যাস হয়ে যাওয়ায় প্রথম প্রথম একটু ক্লান্ত বোধ করতে পারেন। সেই মতো খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চা এবং বিশ্রাম করার মতো রুটিন তৈরি করে নিন। বহু দিন অনেক মানুষের সঙ্গে হয়তো কম্পিউটার বা ফোনের মাধ্যমেই যোগাযোগ ছিল। সামনাসামনি কথা বলতে অস্বস্তি হতে পারে অন্তর্মুখীদের। প্রথমেই নিজেকে জোর করবেন না। প্রথমে ঘনিষ্ঠ সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলুন। বাকিদের সঙ্গেও আগের মতো সহজ যোগাযোগ কিছু দিনের মধ্যেই স্থাপন হয়ে যাবে।
৫। যদি মনে হয় কিছুতেই উদ্বেগ কমছে না এবং সেই কারণে আপনার কাজের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তা হলে অবশ্যই কোনও মনোবিদের সঙ্গে কথা বলুন। আপনার মানসিক চাপ কমাতে একজন বিশেষজ্ঞই আপনাকে সঠিক পথ দেখাতে পারবেন।