পরোটাও হতে পারে স্বাস্থ্যকর। ছবি: সংগৃহীত
কালীপুজো আসতে না আসতে বাতাস শীতের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এই সময়ে জলখাবার হোক বা বিকেলের টিফিন— ছোট আলুর তরকারি দিয়ে নানা রকম পরোটা খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেকে আবার আলু বা পনিরের পরোটা খেলে, গরম পরোটার উপর একটি চামচ মাখন গলিয়ে খেয়ে নেন। মেথি বা গাজরের পরোটা হলে আবার অনেকে রায়তা বা দই দিয়েও খান। কিন্তু পরোটায় যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট এবং ফ্যাট থাকে, তাতে খুব ঘন ঘন খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে বিশেষ ভাল নয়। কিন্তু কিছু উপায় রয়েছে, যা মেনে চললে, পরোটাও হয়ে উঠতে পারে অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। জেনে নিন সেগুলি—
১। কী দিয়ে পরোটা তৈরি করছেন, তা-ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ময়দার বদলে মাল্টিগ্রেন আটা দিয়ে তৈরি করতে পারেন পরোটা। দই দিয়ে মাখলে পরোটা ফুলবেও ভাল, পেটে অনেক প্রোবায়োটিকও যাবে। দুধ দিয়ে মাখলে পরোটা নরম হবে এবং পাশাপাশি শরীরে ক্যালশিয়ামও যাবে।
২। আলু বা পনির পরোটা খেতে কে না ভালবাসে? কিন্তু তার বদলে ব্রকোলি, ডাল বাটা বা অন্য সব্জি দিয়ে পুর তৈরি করতে পরোটা বানাতে পারেন। তা হলে পরোটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর হবে।
৩। ত্রিকোণ পরোটা বানানোর সময়ে প্রচুর তেল দিয়ে বেলতে হয়। তার বদলে গোল পরোটা বানালে কম তেল লাগবে। কী তেল ব্যবহার করছেন, তাও গুরুত্বপূর্ণ। সাদা তেলের বদলে যদি একটু স্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার করতে পারেন, তা হলে আপনার শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা কম হবে। ভাজার সময়েও হেলদি ফ্যাট ব্যবহার করুন।
৪। পরোটার আটা মাখার সময়ে রাজমা বা পালং শাকের পিউরি তৈরি করতে মাখতে পারেন। এতে শরীরে খানিক বেশি পরিমাণে নানা রকম পুষ্টিগুণ যাবে।
৫। পরোটার পুর আর একটু মুচমুচে করতে চাইলে তিল, ফ্ল্যাক্সসিড বা চিয়া সিড মেশাতে পারেন। এতে পরোটা খেতেও ভাল হব। আবার শরীরে জরুরি কিছু পুষ্টিগুণও যাবে।
৬। ক’টা পরোটা একসঙ্গে খাচ্ছেন সেটা দেখাও জরুরি। এক-একটি পরোটায় ক্যালোরি থাকে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০। তাই একসঙ্গে অনেকগুলি খেয়ে ফেললেই সমস্যায় পড়বেন। যদি খুব ঘন ঘন পরোটার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করে ফেলেন, তা হলে অবশ্যই এক বারে একটা করে খান।