প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
ত্বক পরিষ্কার রাখতে রোজ দু’বেলা ফেসওয়াশ বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধোয়া ছাড়া সপ্তাহে অন্তত ১-২ দিন যে কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করে ত্বকের মৃত কোষগুলো পরিষ্কার করা প্রয়োজন। বাজারচলতি অনেক ধরনের স্ক্রাব রয়েছে। রসায়নিক এক্সফোলিয়েটর ইদানীং খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের মধ্যে। কিন্তু সেগুলো ব্যবহার করতে গেলে পকেটে টান পড়বে ভালই। তাই বাড়িতেই অনেকে নানা রকম স্ক্রাব তৈরি করে নিতে পছন্দ করেন। এই স্ক্রাবগুলো মূল উপদান দু’রকম হতে পারে— নুন কিংবা চিনি। অর্থাৎ যে কোনও ধরনের চিনি (নারকেলের চিনি, গুড়ের টুকরো) বা সি-সল্ট (অথবা মিনারেল সল্ট)। কিন্তু নুন না চিনি, কোনটা আপনার ত্বকের পক্ষে বেশি মানানসই, সেটা আগে জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
নুন
নুন দিয়ে তৈরি স্ক্রাবই বেশি ব্যবহার হয়। আপনি যে কোনও স্পা’এ গেলে আপনাকে সি-সল্ট দিয়ে তৈরি স্ক্রাবই দেওয়া হবে। সি-সল্টে নানা রকম খনিজ রয়েছে। ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, আয়রন, ভিটামিন এ এবং সি পাওয়া যায় সল্ট স্ক্রাবে। শরীরের সব রকম ধুলো-ময়লা বার করে ডিটক্সিফাই করতে সাহায্য করে এগুলো। কিন্তু সি-সল্টের দানাগুলো বেশ বড়। তাই কনুই, পা, হাঁটুর মতো একটু রুক্ষ জায়গায় এগুলো ব্যবহার করাই ভাল। সাধারণ বা মিশ্র ত্বকের জন্য এগুলো উপকারী। তবে রোদে-পোড়া বা স্পর্শকাতর ত্বকে সি-সল্ট ব্যবহার করবেন না।
চিনি
নানা রকম চিনি দিয়ে তৈরি স্ক্রাব অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক অত্যাধিক রুক্ষ তাঁদের জন্য সুগার স্ক্রাব আদর্শ। নারকেল তেলের সঙ্গে চিনি মিশিয়ে যদি স্ক্রাব তৈরি করেন, তাহলে ত্বক পরিষ্কার করার পাশাপাশি আর্দ্রও করে তুলবে। যেহেতু চিনির দানা খুব রুক্ষ নয়, তা ত্বকের পক্ষেও সহনশীল। তবে খুব বেশি চিনির স্ক্রাব ব্যবহার করলে ত্বকে বলিরেখার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সপ্তাহে দু’দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না।