প্রতীকী ছবি।
রোজের খাবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল প্রোটিন। শরীর-স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গেলে পর্যাপ্ত প্রোটিনেরও প্রয়োজন আছে। আমাদের শরীরের কোষ ও টিস্যুর গঠনে প্রোটিনের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। রোজ ডায়েটে থাকলেও বেশির ভাগ মানুষই প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনও নির্দিষ্ট সময় মেনে চলেন না। অথচ রোজ নির্দিষ্ট সময় মেনে যদি প্রোটিন খাওয়া যায়, তা হলে তার উপকারিতাও বেশি। প্রতি দিন এক জন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের ওজন প্রতি ১ গ্রাম করে প্রোটিন খাওয়া উচিত। তবে কোন সময়ে প্রোটিন খাচ্ছেন, সে দিকেও মন দিতে হবে। ডায়াবিটিস থেকে শুরু করে ওজন নিয়ন্ত্রণ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রোটিন খাওয়ার সময় আলাদা হওয়া জরুরি বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।
ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য
প্রোটিন খেলে পেট ভর্তি থাকে। ফলে উল্টোপাল্টা খাওয়ার ইচ্ছা তৈরি হয় না। কাজেই ওজন নিয়ন্ত্রণের ডায়েটে প্রোটিন থাকেই। এ ক্ষেত্রে প্রাতরাশে প্রোটিন রাখুন। এটি সারা দিনের জন্য শরীরের বিপাকীয় হার বাড়াবে। আবার রাতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমিয়ে প্রোটিন খান।
পেশি তৈরি ও শক্তি বাড়ানোর জন্য
শরীরচর্চার মাধ্যমে যারা পেশি তৈরি ও পেশিশক্তি বাড়ানোর দিকে ঝোঁকেন, তাঁদের ডায়েটে প্রোটিন রাখা অত্যন্ত জরুরি। কারণ মূলত প্রোটিন দিয়েই পেশি তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে সারা দিনই অল্প অল্প করে প্রোটিন খেতে হবে। সকালে শরীরচর্চা করার আগে অল্প প্রোটিন খান, আবার শরীরচর্চা করার আধ ঘণ্টা থেকে ১ ঘণ্টার মধ্যে খান। রাতে শুতে যাওয়ার আগেও ডায়েটে প্রোটিন রাখুন।
ডায়াবিটিসের জন্য
ডায়েটে পর্যাপ্ত প্রোটিন থাকলে তা ডায়াবিটিসের আশঙ্কা কমায়। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের সব সময়ে সুষম খাবার খাওয়া জরুরি। প্রোটিনও সেই সুষম খাবারেরই অংশ। সারা দিনের খাবারে অল্প অল্প করে হলেও প্রোটিন রাখুন। এতে অতিরিক্ত খাওয়ার ইচ্ছাও কমবে। সেই সঙ্গে ইনস্যুলিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
গর্ভবতী মহিলাদের জন্য
গর্ভাবস্থায় ডায়েটে প্রোটিন রাখা খুব দরকার। কারণ মা ও শিশুর স্বাস্থ্য ভাল রাখা ও সন্তানের টিস্যুর গঠন ঠিকমতো হওয়ার পিছনে প্রোটিনের ভূমিকা রয়েছে। তাই সারা দিনে যত বার খাবেন, তার সঙ্গে একটু একটু করে প্রোটিন খান। এতে শরীরে পর্যাপ্ত প্রোটিনও পৌঁছবে।
ভাল ঘুমের জন্য
রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না? রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে প্রোটিন খান। গবেষণা বলছে, প্রোটিন খাওয়ার সঙ্গে ভাল ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে। রাতের খাবারে কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে অল্প প্রোটিনও খান, তা হলেই সমস্যা কমবে।