প্রতীকী ছবি।
বর্ষায় এমনিতেই ত্বকের সমস্যা বাড়ে। ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যাওয়া, ব্রণর সমস্যা, নানা রকম দাগ-ছোপ, অ্যালার্জি, র্যাশ হতেই থাকে। তা ছাড়াও দীর্ঘ দিনের ক্লান্তি, রোদে পোড়া দাগ, পিগমেন্টেশন চেহারায় থাকাটাই স্বাভাবিক। তবে পুজোর এক মাস আগে থেকে একটু বাড়তি যত্ন নিলে, ত্বকের অনেক সমস্যা কমে যাবে এবং চেহারা ঝকঝকে দেখাবে। ত্বকের যত্নের পাশাপাশি প্রয়োজন বেশি করে জল খাওয়া। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে ত্বক ডিহাইড্রেটেড হয়ে থাকবে এবং ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরবে না।
জল এবং বেশি করে ফল-সব্জি খাওয়া ছাড়াও প্রয়োজন নিয়মিত ত্বকের যত্ন। পুজোর সময়ে যদি ঝকঝকে চেহারা পেতে চান, তা হলে ক্লিনজিং-টোনিং-ময়েশ্চারাইজিংয়ের বাইরে গিয়ে বাড়তি পরিচর্যা করতে হবে এক মাস আগে থেকে। দূষণ, সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি এবং ময়লা ত্বককে নিষ্প্রাণ করে দেয়। সুস্থ-স্বাভাবিক সতেজতা ফিরিয়ে আনতে ব্যবহার করতে পারেন কাজুবাদাম বাটা। কাজু বাদাম খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারি। তবে রূপচর্চায়ও দারুণ কাজে দেয় এই ড্রাই ফ্রুট।
কাজু-পেস্টের উপকারিতা
কাজুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা ত্বকের নতুন কোষ গঠনের ক্ষেত্রে উপকারি। নিয়মিত ব্যবহারে মুখের বলিরেখো এবং অন্যান্য বয়সের ছাপ মিলিয়ে দিতে সাহায্য করে। যেহেতু কাজুর ফেক প্যাক বাড়িতে তৈরি, তাই এর থেকে কোনও রকম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হওয়ার আশঙ্কা কম। তবে যাঁদের বাদামে অ্যালার্জি রয়েছে, তাঁদের এই প্যাক না লাগানোই ভাল।
কী ভাবে তৈরি করবেন
৪-৫টি কাজু একটু জলে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। নরম হয়ে গেলে দুধের সঙ্গে মিক্সারে ঘুরিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন। তার সঙ্গে মেশান বেসন। ব্যাস! তৈরি আপনার ফেস প্যাক।
কী ভাবে লাগাবেন
প্রথমেই যে কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিন। তার পর একটু তুলো গোলাপ জলে ভিজিয়ে টোনিং করে নিন। এর পরে প্যাক লাগিয়ে মিনিট ২০ অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তার পর পছন্দের ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন এই প্যাক লাগালে উপকার পাবেন। ত্বকে বাড়তি জেল্লার আনতে অনেকে এই প্যাকের সঙ্গে কেশরও মিশিয়ে নেন। তবে কাজু বাদামের দাম এমনিতেই বেশি। তার উপর কেশর দিলে প্যাকটি বেশ খরচসাপেক্ষ হয়ে যাবে। হবু কনেরা এই টোটকা সহজেই মানতে পারেন। পার্লারের বিলাশবহুল ব্রাইডাল প্যাকেজের তুলনায় এতে অনেক কম খরচ হবে।