প্রতীকী ছবি।
বাঙালি বাড়িতে এক বেলা মাছের ঝোল-ভাত না খেলে মনে হয় খাওয়াই হল না। ডাল-দুধ যা-ই খাওয়া হোক না কেন, খানিকটা মাছ-ভাত ছাড়া কি যথেষ্ট পুষ্টি পায় শরীর? এ দিকে, এখন অনেক শিশুই মাছ খেতে চায় না। কথায় কথায় মুরগির মাংসই আসে তাদের জন্য। কিন্তু তাতে কি যথেষ্ট পুষ্টি পাবে শরীর? প্রয়োজনীয় সব উপাদান পাচ্ছে তো সন্তান? সে সব চিন্তা না করে আগে জেনে নিন কোন খাদ্য বেশি স্বাস্থ্যকর— মাছ না মাংস।
প্রোটিনের পরিমাণ দু’টি খাদ্যেই যথেষ্ট। তবে তার সঙ্গে আর কী কী আছে এই দু’ধরনের খাবারে? মুরগির মাংস আছে প্রচুর পরিমাণ ট্রান্স ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেট। একটি চিকেন ব্রেস্ট রোস্ট করে খেলে তার মাধ্যমে ১৬৫ ক্যালোরি যায় শরীরে। মূলত কী ভাবে রান্না করা হচ্ছে মাছ বা মাংস, তার উপরেই নির্ভর করে কতটা স্বাস্থ্যকর সেই খাবার। তবে মুরগির মাংস বনাম মাছের এই আলোচনায় আর কী কী জেনে নেওয়া প্রয়োজন?
গবেষকরা দেখেছেন, রোজ কিছুটা প্রোটিন খেলে কর্মশক্তি বাড়ে। মাছ বা মুরগির মাংসকেই নিয়মিত প্রোটিনের মূল নির্ভরযোগ্য সূত্র হিসাবে দেখা ভাল। কারণ এই দু’টি খাদ্য হজম করা তুলনায় সহজ। তবে মাছ আর মাংস ভেজে খেলে তাতে ফ্যাটের পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই দু’টিই সিদ্ধ করে খাওয়া জরুরি। ভাজতে হলেও ব্যবহার করতে হবে খুবই কম তেল।
মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। তা নানা ধরনের অসুখ দূরে রাখে। কিন্তু অনেক মাছেই আবার থাকে পারদ। তা শরীরে গেলে ক্ষতিও করতে পারে। ফলে সব মিলে দেখা গিয়েছে, মুরগির মাংস আর মাছের পুষ্টিগুণের মধ্যে বিশেষ ফারাক নেই। এমনই বলছেন এখন ওয়াশিংটন স্টেট হেলথ ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসক ও গবেষকরা। অর্থাৎ, বাড়ির শিশুটি মাছ না খেয়ে মুরগিক মাংস খেলে বিশেষ ক্ষতি হবে না।