প্রতীকী ছবি।
জীবনে এগিয়ে চলা কারও কারও ক্ষেত্রে অত্যন্তই কঠিন হয়ে ওঠে। চাইলেও নিজের মতো করে সাজিয়ে নেওয়া সহজ হয় না। কিন্তু নতুন একজন সঙ্গী অনেকটা সুন্দর করে তুলতে পারে জীবন। আগামীর পরিকল্পনাও করার ইচ্ছা আসে নতুন ভাবে।
একা হাতে সন্তান পালন করছেন বহু মা। কোনও সঙ্গীর সাহায্য ছাড়াই। তাঁদের জীবনও বদলে যেতে পারে নতুন কারও সঙ্গে আলাপ হলে।
কিন্তু সন্তানের দেখভাল আর একা হাতে সংসার সামলানোর মাঝে নতুন সম্পর্কের সময় কোথায়? এমন কথা বলবেন অনেকেই। তার চেয়েও বড় কথা হল, এই পদক্ষেপ করার জন্য সাহস জুগিয়ে ওঠা।
কিন্তু নতুন কোনও মানুষের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানো মানেই এই নয় যে, সন্তান পালনের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে তাঁর সঙ্গে। কিংবা সেই মানুষটির পরামর্শ মতো করতে হবে সব কাজ। সে সব তো অনেক পরের বিষয়। তাই বলে সন্তানের দায়িত্ব আছে মানে যে নিজের জন্য অন্য কিছু ভাবতে নেই, তাও তো নয়। বরং নতুন কারও সঙ্গে আলাপ হলে আগের সম্পর্ক থেকে জমে থাকা কষ্ট খানিক হাল্কা হতে পারে।
কিন্তু সমস্যা হল এমন মায়েদের ক্ষেত্রে নানা মানসিক বাধা আসে। আগের সম্পর্কের জের না কাটায় নতুন কাউকে ভরসা করতে সমস্যা হতে পারে। কিংবা স্বামীর যদি মৃত্যু ঘটে থাকে, তবে মনের মধ্যে আরও নানা ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খায়। কিন্তু একটু একটু করে তো এগিয়েও চলতে হবে। সঙ্গীহীন সেই মায়েদের জন্য রইল কিছু নতুন সম্পর্কে ঢোকার পরামর্শ।
১) লজ্জার কোনও কারণ নেই। এ কথা মনে রাখা সবচেয়ে বেশি জরুরি। মাতৃত্বের কর্তব্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই জরুরি নিজেকে ভাল রাখা। ফলে নিজের কথা ভাবলেই সন্তানের অবহেলা হবে, এমন চিন্তা ঠিক নয়।
২) সন্তান যদি একটু বড় হয়ে গিয়ে থাকে, তবে তার সঙ্গে আলোচনা করুন। এতে অপরাধের কিছু নেই। বরং সন্তানও বুঝতে শিখবে যে তার মায়ের একজন সঙ্গী প্রয়োজন।
৩) নতুন কারও সঙ্গে দেখাসাক্ষাৎ শুরু করলে, তাঁকে গুরুত্ব দিন। প্রথম সম্পর্কের মতো প্রেমে ভেসে যাওয়ার পরিস্থিতি হয়তো এ ক্ষেত্রে তৈরি হবে না। কিন্তু তাঁকে বুঝতে দিন যে, আপনি সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে ইচ্ছুক। তবে তিনিও আপনার পারিবারিক পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে চলার কথা ভাবতে পারবেন।