হিংস্র হলেও পোষ্য তো! ছবি: সংগৃহীত।
কুকুর হোক কিংবা বিড়াল— বাড়িতে পোষ্যের ছোটাছুটি, দৌড়ে বেড়ানো মন্দ লাগে না। মনখারাপ হোক কিংবা নিঃসঙ্গতা, পোষ্যের সঙ্গে ভাল থাকেন অনেকে। বন্ধুবান্ধব, পরিজন, প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলে চারপেয়ে পোষ্যের দেখা পাওয়া যায়। তারা পায়ে পায়ে ঘোরে। তবে কুকুর, বিড়াল, খরগোশের মতো ঘরোয়া জীব ছাড়াও অনেকে এমন প্রাণীও পোষেন, যাদের দূর থেকে দেখেও ভয়ে সিঁটিয়ে যেতে হয়। এ রকমই কিছু প্রাণীকে পোষ্য হিসাবে বাড়িতে রাখা হয়েছে।
সিংহ
আরবের কোটিপতি হামিদ আলবুকায়িশ। হিংস্র বন্যপ্রাণী বাড়িতে রাখা তাঁর নেশা। তবে হামিদ ইনস্টাগ্রামে জনপ্রিয় তাঁর পোষ্য সিংহটির জন্য। সিংহের সঙ্গে একান্ত ছবি পোস্ট করেন মাঝেমাঝেই। সিংহ ছাড়াও তাঁর পোষ্যের তালিকায় রয়েছে চিতা এবং ফ্লেমিংগো। বিলাসবহুল বাড়ির পিছনের দিকটা এক প্রকার সাফারি পার্ক তৈরি করেছেন তিনি। সেটাই তাঁদের পোষ্যদের আবাস।
জলহস্তী
দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা টনি এবং শার্লি। বিশাল সম্পত্তির মালিক এই দম্পতি বাড়িতেই জলহস্তী পোষেন। বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যেই জলাশয় তৈরি করে পোষ্যকে রেখেছেন। পোষ্যের অভিভাবক হওয়া সহজ নয়। বাড়িতে কুকুর, বিড়াল থাকলে তাদের সামলাতেই নাজেহাল হয়ে পড়েন অনেকে। সেখানে জলহস্তীর দেখাশোনা যে একেবারেই সহজ নয়, তা বোঝা যায়। টনি এবং শার্লি দু’জনে মিলেই দেখাশোনা করেন পোষ্যের।
হায়না
নাম শুনলেই ভয়ে বুক কাঁপে। অথচ ফ্লোরিডার বাসিন্দা জ্যাক হাওয়ান হায়না পোষেন বাড়িতেই। জ্যাকের পোষ্যের আতঙ্কে বাড়িতে বন্ধুবান্ধবের আসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। বিলাসবহুল না হলেও জ্যাকের বাড়ি খুব একটা ছোট নয়। বাড়ির একটা ঘরে লোহার গেট লাগিয়ে পোষ্যকে রেখেছেন, নিজের হাতেই খেতে দেন, দেখাশোনা করেন।