South Korea Plane Crash

‘এটাই কি আমার শেষ কথা?’ মৃত্যু আসন্ন বুঝে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমান থেকে প্রিয়জনকে বার্তা যাত্রীর

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। সেই তালিকায় থাকা এক যাত্রীর আত্মীয়ের কথায় উঠে এল মর্মান্তিক চিত্র।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৪:৪৯
Passenger’s chilling final message before horrifying South Korea plane crash revealed

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ। ছবি: রয়টার্স।

বিমান তখনও মাঝ আকাশে। আচমকা ঝাঁকুনি। বুঝতে পারেন বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। টলমল করতে করতে কোনওক্রমে বিমানবন্দরে অবতরণ করে। কিন্তু তত ক্ষণে ওই বিমানে থাকা যাত্রীরা বুঝতে পেরেছেন মৃত্যু আসন্ন! বিমানের মধ্যেই শুরু হয় আর্তনাদ। সেই ফাঁকে এক যাত্রী তাঁর প্রিয়জনকে মেসেজ করেন। নিজের ‘শেষ কথা’ বলতে চান তিনি!

Advertisement

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান বিমানবন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭৯ জনের। সেই তালিকায় থাকা এক যাত্রীর আত্মীয়ের কথায় উঠে এল মর্মান্তিক চিত্র। সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, বিমান দুর্ঘটনার আগে ওই প্রিয়জন তাঁর ফোনে পর পর দুটো মেসেজ পান। প্রথম মেসেজে ওই যাত্রী তাঁর প্রিয়জনকে জানান, তাঁদের বিমানটি মাঝ আকাশে একটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছে। তার পর মুহূর্তেই তিনি মেসেজ পাঠিয়ে জানতে চান, এটাই কি তাঁর শেষ কথা? তার পর আর কোনও মেসেজ আসেনি। পরে সংবাদমাধ্যম থেকেই বিমান দুর্ঘটনার কথা জানতে পারেন ওই যাত্রীর প্রিয়জন। পান যাত্রীটির মৃত্যুর খবরও!

দক্ষিণ কোরিয়ার বিভিন্ন সংবাদ সংস্থায় প্রত্যক্ষদর্শীরা দুর্ঘটনার সময়কার অভিজ্ঞতার কথা জানান। অনেকেই জানান, তাঁরা বিমানের ইঞ্জিন থেকে আগুন বার হতে দেখেন। বিমানবন্দর থেকে সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে থাকা এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, ‘‘আমি দেখতে পাই বিমানটি দ্রুত নীচে নেমে আসছে। কিন্তু সোজা পথে নামছে না। এ দিক-ও দিক টাল খাচ্ছে। কিছু ক্ষণ পরই বিকট শব্দ কানে আসে। সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দর এলাকায় ধোঁয়া দেখতে পাই। বুঝতে পারি বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে।’’

অন্য এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিমান দুর্ঘটনার অন্তত পাঁচ মিনিট আগে তিনি একটি ধাতব শব্দ শুনতে পান। তার পরই আকাশের দিকে তাকাতেই বিমানটি নজরে আসে। কয়েক মুহূর্ত পরে বিমানবন্দর থেকে তিনিও বিকট শব্দ শুনতে পান। কালো ধোঁয়া নজরে আসতেই দুর্ঘটনার বিষয়টি বুঝতে পারেন বলে জানান ওই প্রত্যক্ষদর্শী। অনেকে জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের সময়ে কিছু গোলমাল হচ্ছে, আঁচ করেছিলেন ভিতরের যাত্রীরাও। দেওয়ালে সংঘর্ষের পর অনেকে ছিটকে নীচে পড়েছিলেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ারের বিমানটি ব্যাঙ্কক থেকে ফিরছিল। তাতে ছিলেন ১৭৫ জন যাত্রী এবং ছ’জন বিমানকর্মী। মুয়ান শহরে অবতরণের সময়েই দুর্ঘটনা ঘটে। ১৮১ জনের মধ্যে ১৭৯ জনেরই মৃত্যু নিশ্চিত করেছে সে দেশের সংবাদমাধ্যম। জীবিত অবস্থায় মাত্র দু’জনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অনেকে একে দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে ‘অন্যতম ভয়ঙ্কর’ বিমান দুর্ঘটনা বলছেন।

Advertisement
আরও পড়ুন