প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
উত্তরপ্রদেশে ১০৭ জনের শরীর থেকে প্রমাণ মিলেছে মারাত্মক ডেল্টা প্রজাতির। আর পাশাপাশি দু’জনের শরীরে দেখে গিয়েছে ‘কাপ্পা’ প্রজাতির সংক্রমণ। এই কাপ্পা প্রজাতি আদপে কী, জেনে নেওয়া যাক।
কাপ্পা কী
করোনার এই রূপ কিন্তু নতুন নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু অনুযায়ী ভারতে কাপ্পার প্রথম খোঁজ মিলেছিল ২০২০ সালের অক্টোবার মাসেই। বি.১.৬১৭.২’কে যেখানে ডেল্টা নামে ডাকা হচ্ছে, বি.১.৬১৭.১ রূপী ভাইরাসের নামকরণ হয় কাপ্পা। ‘ল্যাম্বডা’ যা ইতিমধ্যে ৩০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে, তার মতোই কাপ্পার উপরও নজর রাখছে হু। তবে এখনই করোনার এই রূপ নিয়ে খুব বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেনি হু।
ডেল্টার মতোই কাপ্পাতেও দু’টো মিউটেশন হয়েছে, ইই৪৮৪কিউ এবং এল৪৫২আর।
‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট’ কী
সার্স-কভ-২’র মধ্যে যখন জিনগত বদল আসে এবং তাতে ভাইরাসের ধর্ম বদলে যায়, মানে কী ভাবে এই ভাইরাস ছড়াচ্ছে, কত দ্রুত কত মানুষকে সংক্রমিত করতে পারছে, সংক্রমণের ফলে শরীরে কী কী বদল আসছে, প্রতিরোধশক্তিকে কতটা ফাঁকি দিতে পারছে, তখন সেই নয়া রূপ নিয়ে নড়েচড়ে বসেন বিজ্ঞানীরা। বিশেষ করে একেকটা অঞ্চলে যদি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে ভাইরাসের কোনও রূপ এবং অনেক মানুষকে একসঙ্গে সংক্রমিত করতে পারে, বা অনেকগুলো দেশে এই প্রজাতি ছড়িয়ে পড়ে, তাহলে হু সেই প্রজাতি নিয়ে আরও গবেষণা শুরু করে। বিশ্ব স্বাস্থ্যের উপর কোনও রকম আশঙ্কা দেখা গেলে, সেই প্রজাতি হয়ে যায় ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ কনসার্ন’। মানে যা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।
যে কোনও রূপান্তরিত ভাইরাস যদি ফের রূপ বদলায় এবং বেশ কিছু অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তার উপর নজরদারি বাড়ানো হয়। তখন সেটা হয়ে যায় ‘ভ্যারিয়্যান্ট অফ ইন্টারেস্ট’।
বি.১.৬১৭’র দুই রূপ ডেল্টা আর কাপ্পার খোঁজ