যখন ১৩ বছর বয়স, তখন জানতে পারলেন, মা বড়দের ছবিতে অভিনয় করেন। ছবি: প্রতীকী
মা বাইরে কাজ করেন, এ কথা জানতেন। কিন্তু কী কাজ করেন, তা জানতেন না। স্কুলে পড়ার সময় বন্ধুরা তাঁদের অভিভাবকদের পেশা নিয়ে কথা বললেও নিজের মা কী করেন, তা বলতে পারতেন না। যখন ১৩ বছর বয়স, তখন জানতে পারলেন, মা বড়দের ছবিতে অভিনয় করেন। নেটমাধ্যম রেডিটে এমনই স্বীকারোক্তি দেখা গেল এক পর্নতারকার সন্তানের লেখনীতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই তরুণী জানান, এখন তাঁর বয়স ১৯। ছ’বছর আগে তিনি জানতে পেরেছিলেন, পর্ন ছবিতে অভিনয় করেন তাঁর মা। আগে অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ‘নিষিদ্ধ’ পত্রিকা ‘প্লে-বয়’-তে মায়ের ছবি দেখেছিলেন তিনি। তখন ভেবেছিলেন, মা কেবল মডেলিং করেন। তিনি যে পর্ন ছবিতেও কাজ করেন, সে কথা প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি তিনি। কিন্তু এক সহপাঠী হঠাৎই একদিন তাঁকে একটি ভিডিয়ো দেখান। সেই ভিডিয়োতে মাকে দেখে চমকে ওঠেন তিনি।
মায়ের পেশার কথা জানাজানি হতেই স্কুলে শুরু হয় হেনস্থা। সহপাঠীরা বার বার মাকে নিয়ে উত্ত্যক্ত করত তাঁকে। কিন্তু তাতে দমে যাননি, বরং মায়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন বিষয়টি নিয়ে। মা স্বীকার করে নেন নিজের পেশার কথা। জানান দু’দশকের থেকেও বেশি সময় ধরে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত ছবিতে কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি, যৌনজীবন সুরক্ষিত রাখতে কী কী করণীয় সেই সংক্রান্ত কৌশলও তাঁকে শিখিয়ে দেন মা। সমাজ বা সহপাঠীরা কটূক্তি করলেও মায়ের পাশেই দাঁড়িয়েছেন মেয়ে। জানিয়েছেন, পর্ন ছাড়াও আদরপুতুলের বিজ্ঞাপনও দেন তাঁর মা। মায়ের উপার্জন ভারতীয় মুদ্রায় কোটি টাকার কাছাকাছি। তরুণীর সাফ কথা, পড়াশোনা থেকে পোশাক-পরিচ্ছদ, কোনও কিছুরই অভাব রাখেননি মা। সংসার ও সন্তানকে ভাল রাখতেই এই কাজ করতে হয়েছে তাঁকে। তাই মায়ের প্রতি কোনও অভিযোগ নেই তাঁর।