পোষ্য বিড়াল সুযোগ পেলেই হেঁশেলে ঢুকে যায়? ৫ জিনিস রাখুন তার নাগালের বাইরে। ছবি:ফ্রিপিক।
ঠিক যেখান থেকে তাকে বার করে দেওয়া হয়, সেখানেই ঢুকে যায় আদরের মার্জার? এমন হয় বহু বাড়িতেই। যতই তাকে মনের মতো খাবার দেওয়া হোক না কেন, ফাঁক পেলেই হেঁশেলে সেঁধিয়ে এটা-ওটায় মুখ দেয় বিড়াল। কখনও আবার দৌরাত্ম্যও করে।
বাড়ির লোকে সাবধান না হলে এমন স্বভাবের জন্য বিপদে পড়তে পারে বিড়াল নিজেই। পোষ্য মার্জারের রান্নাঘরে ঢুকে যাওয়ার স্বভাব থাকলে তার নাগালের বাইরে রাখুন কয়েকটি জিনিস।
১। অনেক বাড়িতেই যেমন বোর্ডে রেখে ছুরি দিয়ে সব্জি ফল কাটা হয়, তেমনই বঁটিতে সব্জি কাটার চলও রয়েছে বহু বা়ড়িতে। যে কোনও ধারালো, খোঁচা লেগে যায় এমন জিনিস মার্জারের নাগালের বাইরে রাখা দরকার। বিশেষত ধারালো বঁটি, ছুরি খোলা অবস্থায় ফেলে রাখার অভ্যাস আচমকা বিপদের কারণ হতে পারে।
২। গরম খাবারও মার্জারের নাগালের বাইরে রাখা দরকার। তার পছন্দের কোনও জিনিস সামনে পেলে সে তাতে মুখ দিতেই পারে। পোষ্য খাবারে মুখ দিলে স্বাস্থ্যের দিক বিবেচনা করে তা যেমন বাড়ির কারও খাওয়া ঠিক হবে, না তেমনই অতিরিক্ত গরম খাবারে সে মুখ দিয়ে ফেললে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
৩। পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর খাবারও তার সামনে বা এ দিক-সে দিক ছড়িয়ে রাখা উচিত নয়। হেঁশেলে পেঁয়াজ, রসুন, সব্জি, ফল থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। তবে পেঁয়াজ, রসুন, পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর। খুব সামান্য মুখে গেলেও ক্ষতি হতে পারে।
৪। চকোলেট, আঙুর, কিশমিশ ইত্যাদি খাবারও মার্জারের খাওয়া ঠিক নয়। পোষ্যের জন্য কোনও খাবার অ্যালার্জি থাকে, সেগুলিও হেঁশেলে এমন জায়গায় রাখুন যাতে বিড়াল সেখানে ঢুকলেও, তার সন্ধান না পায়।
৫। রান্নাঘরে অনেকেই কাঁচা ডিম রাখেন। বিড়াল যে শুধু সেগুলি ভেঙে ফেলে কাজ বাড়াতে পারে, তা নয়, কাঁচা ডিম খেয়ে ফেললে তার পেটখারাপের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সালমোনেল্লা, ইকোলাইয়ের মতো ব্যাক্টেরিয়া অনেক সময় বাসা বাঁধে কাঁচা ডিমে। কাঁচা ডিম মুখে গেলে, ব্যাক্টেরিয়াও মার্জারের পেটে যেতে পারে।