শ্বেতাকে দেখলে কলেজপড়ুয়া বলে ভুল করা দোষের নয়। ছবিঃ সংগৃহীত
বয়স যে সংখ্যা মাত্র, বলিপাড়ার যে নায়িকারা চোখে আঙুল দিয়ে তা দেখিয়ে দিয়েছেন, শ্বেতা তিওয়ারি তাঁদের অন্যতম। হিন্দি ধারাবাহিকের পরিচিত মুখ শ্বেতা। দ্বিতীয় বার মা হওয়ার পর টেলিভিশনের পর্দায় কিছু দিন আর দেখা যায়নি শ্বেতাকে। তার অন্যতম কারণ ওজন বেড়ে যাওয়া। দ্বিতীয় বার মা হওয়ার পর শ্বেতার ওজন বেড়ে ৭৩ কেজি হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত ওজনের কারণে কাঁধের সমস্যাতেও ভুগতে শুরু করেন। সেই সময় অভিনেত্রীর কাছে ‘হম তুম অ্যান্ড দেম’ ধারাবাহিকে কাজের প্রস্তাব আসে। সেই ধারাবাহিকের চরিত্রের জন্য ওজন ঝরানোর প্রয়োজন ছিল। তখনই বড় মেয়ে পলক তিওয়ারির উৎসাহে রোগা হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন শ্বেতা। সফলও হন।সেই যে ওজন ঝরালেন নায়িকা, তার পর আর ওজন বাড়তে দেননি। এখন অবশ্য শ্বেতাকে দেখলে কলেজপড়ুয়া বলে ভুল করা দোষের নয়। সংসার, দুই সন্তান, কাজ— সব কিছু সামলে কী ভাবে নিজের যত্ন নেন শ্বেতা?
ঘরোয়া উপায়ে রূপচর্চা
ত্বকের যত্ন নিতে শ্বেতা কখনও বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহার করেন না। ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে আগ্রহী তিনি। ফেস প্যাক থেকে শ্যাম্পু, সবই বাড়িতে নিজের হাতে তৈরি করে নেন। কৃত্রিম ভাবে তৈরি এমন কোনও প্রসাধনী তিনি ব্যবহার করেন না। মাঝেমাঝেই মুলতানি মাটি দিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে লাগান।
নিজেকে সব সময় আর্দ্র রাখেন
শুটিং ফ্লোর কিংবা বাড়ি— জল খেতে ভোলেন না তিনি। কয়েক মিনিট অন্তর অন্তর জল খান। সতেজ এবং সজীব সৌন্দর্য পেতে জল খাওয়ার কোনও বিকল্প নেই বলেই মনে করেন তিনি।
সুষম খাবার খাওয়া
শুটিংয়ে গেলেও শ্বেতা বাড়ির খাবার সঙ্গে নিয়ে যান। বাইরের খাবার ছুঁয়েও দেখেন না শ্বেতা। বাড়িতে কড়া নির্দেশ, রান্নাতে যেন এক ফোঁটাও তেল না দেওয়া হয়। মশলা তো একেবারেই নয়। মাসে এক দিন বাইরের খাবার খান। পরের দিন কোনও কাজ রাখেন না, সারা দিন জিমে পড়ে থাকবেন বলে।
চুলের যত্নে কড়া নজর
শ্বেতার এক ঢাল কালো চুল নজর কাড়ে অনেকেরই। এমন সুন্দর চুলের নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে অলিভ অয়েলের স্পর্শ। শ্যাম্পু করার আগের দিন চুলে অলিভ অয়েল মেখে রাখেন। এতে নাকি চুল নরম, মসৃণ এবং ফুরফুরে হয়।