‘পরমসুন্দরী’র ফিটনেসের রোজনামচা! ছবি- সংগৃহীত
বলিউডের প্রথম সারির নায়িকাদের মধ্যে অন্যতম ফিট অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন। ‘পরমসুন্দরী’ যে ফিটনেস সচেতন সে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল বলিপাড়া। চরিত্রের প্রয়োজনে নিজেকে সেই অনুযায়ী গড়ে তুলতে কৃতি কম পরিশ্রম করেন না। চলতি বছরে মুক্তি পেয়েছিল ‘বচ্চন পাণ্ডে’। সেই ছবিতে কৃতি শ্যানন অভিনীত চরিত্রটি যথেষ্ট প্রশংসিত হয় দর্শকমহলে। এই ছবিতে উঠতি পরিচালক মায়রার ভূমিকায় দেখতে পাওয়া যায় অভিনেত্রীকে। চরিত্রে মানানসই হয়ে ওঠার জন্য খাওয়াদাওয়া মেনে চলা থেকে শরীরচর্চা— কম পরিশ্রম করেননি তিনি। এর আগেও ‘মিমি’ ছবিতে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার চরিত্রে নিজেকে তৈরি করতে গিয়ে ‘হট অ্যান্ড স্লিম’ কৃতি হয়ে উঠেছিলেন স্থূলকায় মহিলা। সেই ছবির বেশ কিছু দৃশ্যের জন্য কৃতিকে ওজন বাড়াতে হয়েছিল প্রায় ১৫ কেজি। শ্যুটিং পর্ব মিটে যাওয়ায় আবার নিজের চেষ্টাতেই স্বরূপে ফিরে এসেছিলেন অভিনেত্রী।
শুধু পর্দায় নয়, বাস্তব জীবনেও নিজেকে ভাঙতে-গড়তে ভালবাসেন তিনি। তার জন্য শারীরিক ভাবে নমনীয় থাকাটা প্রয়োজন। কৃতির ফিটনেস রুটিনও সেই কথা বলছে। শত ব্যস্ততাতেও শরীরচর্চায় ফাঁকি দেন না কৃতি। যেখানেই থাকুন, যত কাজই থাকুক নিয়ম করে ফিট থাকার অনুশীলন তিনি চালিয়ে যান। কখনও নির্জন পাহাড়ের কোলে ধ্যানমগ্না হয়ে আবার কখনও আঁটসাঁট জিম পোশাকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত— অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রামের পাতা খুঁজলে এ হেন ছবি চোখে পড়বে।
শুধু কি শরীরচর্চা? সারা দিনে কী খান তার চেয়েও, কৃতি কী খান না— সেই তালিকাটা বেশি দীর্ঘ। তবে যা-ই খান তাতে প্রোটিন, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ সমান থাকাটা বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের শাকসব্জি, মরসুমি ফল তো রয়েছেই। তরল খাবার খেতে বেশি পছন্দ করেন। তাই সারা দিনের বেশির ভাগ সময়েই তিনি তরল খাবার খেয়ে থাকেন। ভাত, রুটি যে তাঁর একেবারে না-পসন্দ, এমন নয়। সে সবও তিনি খান। তবে একেবারেই স্বল্প পরিমাণে। তবে এ সবের পিছনে অভিনেত্রীর একটাই মন্ত্র— ফিট থাকা।