ডায়াবেটিক দাদার জন্য ভাইফোঁটায় থাকুক বিশেষ মেনু। ছবি: শাটারস্টক।
ভাইফোঁটার দিন ভাই কিংবা দাদার জন্য পঞ্চব্যঞ্জন না রাঁধলে কি চলে? সাধ করে অনেক পদ তৈরি করবেন, অথচ দাদা কিছুই খেতে না পারলে তো মনটা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক! এখন ঘরে ঘরেই ডায়াবিটিসের রোগী। আর ডায়াবিটিস মানেই খাবারে হাজার রকম বিধিনিষেধ। আপনার ভাই কিংবা দাদা যদি ডায়াবেটিক হন, তা হলে তো তাঁর জন্য সাধারণ পদ রাঁধলে চলবে না। ভূরিভোজের সঙ্গে আপস না করেই এমন কিছু রাঁধতে হবে, যা খেলে তাঁর শরীরের কোনও ক্ষতি হবে না। ভাবছেন, এমন কী রাঁধা যায়?
পুষ্টিবিদ পম্পিতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানালেন দাদার শরীরের খেয়াল রেখেও কী ভাবে উদ্যাপন করা যায় দিনটি। পম্পিতা বললেন, ‘‘ডায়াবিটিস থাকলে ভাইফোঁটার দিন সাধ হলেও দাদা কিংবা ভাইকে মিষ্টি দেওয়া যাবে না। অনেকেই মনে করেন, সুগার ফ্রি দিয়ে তৈরি পায়েস কিংবা মিষ্টি বানিয়ে ভাইকে দেবেন, তবে তাঁর শরীরের কথা ভেবে এই কাজ না করাই ভাল। ডায়াবিটিস যদি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে থাকে, তা হলে অল্প গুড় ব্যবহার করে বাড়িতে মিষ্টি তৈরি করে দিতে পারেন। মিষ্টিতে খেজুর কিংবা কোনও ধরনের ড্রাই ফ্রুটস ব্যবহার করবেন না। ভাইকে কোনও ধরনের ভাজাভুজি পরিবেশন করবেন না। ভোজের থালায় অবশ্যই বেশি করে স্যালাড রাখবেন। রান্নায় চিনি ব্যবহার করবেন না।’’
ডায়াবেটিক ডায়েট মেনেই তৈরি করুন ভোজের মেনু
প্রথমেই ভাইকে দিতে পারেন ডাবের শরবত। দুপুরে খাবার পাতে প্রথমে রাখুন ২টি তন্দুরি পমফ্রেট, সঙ্গে বেশি করে স্যালাড। তার পর ৩০ গ্রাম চালের ভাতের সঙ্গে সব্জি দিয়ে মুগ মোহন ডাল, দই ভেটকি, চিংড়ি ভাপা, পাবদার ঝালের মতো মাছের পদ রাখতে পারেন। ভাই পাঁঠার মাংস খেতে পছন্দ করলে বানাতে পারেন মটন কষা, তবে দু’পিসের বেশি নয়। আর না হলে মুরগি দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন পাতুরি। শেষ পাতে অল্প গুড় দিয়ে তৈরি ছানার পায়েস রাখতে পারেন। তবে ভাইয়ের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে চাটনি-পাঁপড় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।