আট বছর ধরে পেটের মধ্যে রয়ে গিয়েছিল নেল-কাটার। ধরা পড়ল এক্স-রে তে। ছবি: সংগৃহীত।
পেটে ব্যথা নিয়ে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন বছর ৩৮-এর এক ব্যক্তি। চিকিৎসকেরা পেটের এক্স-রে করে যা দেখলেন, তা শুধু অস্বাভাবিকই নয়, খানিকটা অবাস্তবও। সেখানকারই এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, পুনর্বাসন কেন্দ্রের অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে, রাগে ৮ বছর আগে নেলকাটার খেয়ে ফেলেছিলেন ওই ব্যক্তি। সেই বস্তুটি এত দিন ধরে রয়ে গিয়েছে পেটের মধ্যে এবং সে কথা তিনি বেমালুম ভুলেই গিয়েছিলেন। ৮ বছর পর অস্ত্রোপচার করে সেই নেলকাটারই উদ্ধার করলেন চিকিৎসকেরা।
ওই ব্যক্তি জানান, বেশ কিছু দিন ধরেই তলপেটে ব্যথা হচ্ছিল। তাই চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলেন তিনি। এক্স-রে পরীক্ষার ফল দেখে চিকিৎসকেরা জানতে চাইলে ৮ বছর আগের পুনর্বাসন কেন্দ্রের ঘটনার কথা জানান তিনি। মদ্যপানের আসক্তি কাটাতে পরিবারের লোকজনই তাঁকে সেখানে রেখে এসেছিলেন। দিনের পর দিন সেখানে রোগীদের উপর অকথ্য অত্যাচার করা হত। তা সহ্য করতে না পেরেই এক দিন নেলকাটার খেয়ে ফেলেন তিনি। সেখানকার কর্মীদেরও ওই ব্যক্তি জানিয়েছিলেন, নেলকাটার খেয়ে ফেলার কথা। তাঁকে একাধিক কলা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন সেই পুনর্বাসন কেন্দ্রের কর্মীরা। তাঁরা অনুমান করেছিলেন, মলের মাধ্যমে তা পেট থেকে ওই বস্তুটিকে বার করে দিতে সাহায্য করবে কলা। কিন্তু তা যে হয়নি, তার বিন্দুবিসর্গও টের পাননি ওই ব্যক্তি। পুনর্বাসন কেন্দ্র থেকে ছুটি পাওয়ার পর একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছিলেন। কাউকে এই ঘটনার কথা জানানোর প্রয়োজনও পড়েনি।
চিকিৎসক লোহিত ইউ-এর নেতৃত্বাধীন একদল চিকিৎসক অস্ত্রোপচার করে ওই ব্যক্তির পেট থেকে নেলকাটারটি উদ্ধার করেন। তাঁরা জানান, অত্যন্ত বিপজ্জনক অবস্থায় বস্তুটি ওই ব্যক্তির অন্ত্রে এত দিন আটকে ছিল। কী ভাবে যে শরীরে একটি নেলকাটারের মতো জিনিসের উপস্থিতি ওই ব্যক্তি টের পেলেন না, সে বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।