প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে টাকাপয়সার লেনদেন সহজতর হলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ঠকাচ্ছেন মানুষকে। ছবি: প্রতীকী
বিদ্যুৎ মাসুল জমা দিন, এই মর্মে মেসেজ এসেছিল ফোনে। সেই মেসেজের মাধ্যমে বিদ্যুতের বিল জমা দিতে গিয়ে প্রায় ৫ লক্ষ টাকা খোয়ালেন বেঙ্গালুরুর এক বাসিন্দা। অরবিন্দ কুমার নামের ওই ব্যক্তির অভিযোগ, ‘বেঙ্গালুরু ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড’-এর কর্মী পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি যোগাযোগ করেন তাঁর সঙ্গে। জানান, বিদ্যুতের মাসুল বাকি রয়েছে তাঁর। ওই ব্যক্তির কথা মতো টাকা জমা করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে টাকা পয়সার লেনদেন সহজতর হলেও কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়েই ঠকাচ্ছেন মানুষকে। তাই এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচতে মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম।
সম্প্রতি গ্রাহকদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এই ধরনের প্রতারণা থেকে বাঁচার জন্য ৩টি পদ্ধতি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছে।
১। প্রথমেই দেখুন, যে নম্বর থেকে মেসেজ এসেছে সেটি কোনও সরকারি নম্বর, না কারও ব্যক্তিগত ফোন নম্বর। কোনও বিদ্যুৎ সরবরাহকারী সংস্থা কিংবা সরকারি দফতর কেবলমাত্র সরকারি নম্বর থেকেই বার্তা পাঠায়।
২। খেয়াল রাখুন, যে বার্তাটি এসেছে বা যিনি কোনও অসরকারি নম্বর থেকে ফোন করছেন তিনি তাড়াহুড়ো করছেন কি না, কিংবা অবিলম্বে বিদ্যুতের বিল জমা দেওয়ার কথা বলছেন কি না। এই ধরনের প্রতারকরা সাধারণত চেষ্টা করেন যাতে সাধারণ মানুষের মনে ভয় ধরিয়ে দেওয়া যায়, যাতে তাঁরা ভাবনাচিন্তা করার সময় না পান।
৩। যে বার্তাটি এসেছে সেটি ভাল করে পড়ে দেখুন। কোনও বানান ভুল কিংবা ব্যাকরণগত ত্রুটি আছে কি না খেয়াল করুন।
এই ধরনের ঘটনা ঘটলে ঘাবড়ে যাবেন না। যে কোনও অর্থনৈতিক লেনদেনের সময় সতর্ক না থাকলে প্রতারকরা হাতিয়ে নিতে পারে টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে এমনও বলা হয়েছে যে, অবিলম্বে টাকা না দিলে তৎক্ষণাৎ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কোনও অচেনা ব্যক্তিগত ফোন নম্বর থেকে এই ধরনের বার্তা এলে ভাল করে খোঁজ খবর নিন। দরকারে নিকটবর্তী বিদ্যুৎ বণ্টন অফিসে যোগাযোগ করুন।