ছবি: সংগৃহীত।
সর্দি, খুসখুসে কাশি হলে মুখে লবঙ্গ রাখলে খানিকটা স্বস্তি পাওয়া যায়। লবঙ্গের ঝাঁঝে ঠান্ডা লাগার অস্বস্তি থেকে দূরে থাকা সম্ভব। লবঙ্গ ঠান্ডা লাগার সমস্যায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। লবঙ্গের গুণেই অনেক সময় সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে লবঙ্গের কার্যকারিতা কিন্তু এখানেই শেষ নয়। পুষ্টিবিদেরা জানাচ্ছেন, খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গ চা খেয়ে দেখতে পারেন। লবঙ্গ যে শরীরের জন্য কতটা উপকারী এই অভ্যাসে তা বোঝা যাবে। খাবার খাওয়ার লবঙ্গ চা খেলে কী কী সুফল পাবেন?
হজমের গোলমাল কমে
গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভোগেন অনেকেই। সকালে উঠে খালি পেটে তাই গ্যাসের ওষুধ খান। তবে লবঙ্গ চা খাওয়া শুরু করলে আর গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার দরকার হবে না। লবঙ্গ এক ধরনের এনজাইমের নিঃসরণ ঘটায়, যা হজমশক্তি উন্নত করে। শুধু ঠান্ডা লাগলে নয়, হজমের গোলমাল কমাতেও লবঙ্গের উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা রাখা যায়।
প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করে
লবঙ্গে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা প্রদাহজনিত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পেটের গোলমাল ঠেকাতে লবঙ্গ সত্যিই খুব উপকারী। অনেক সময় প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খেয়ে নেওয়ার কারণে অস্বস্তি হয়। লবঙ্গ সেই অস্বস্তির জন্ম হতেই দেয় না।
দাঁতের যত্নে
দাঁত ক্ষয়ের ঝুঁকি কমায় লবঙ্গ চা। দাঁতে ব্যথা, পোকা ধরার সমস্যা থাকলে খাবার খাওয়ার পর ভাল করে মুখ ধুয়ে লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেতে পারেন। লবঙ্গ দাঁতের গোড়া শক্তিশালী করে। দাঁতের ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।
শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য লবঙ্গ উপকারী। গবেষণা জানাচ্ছে, লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই কমে। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে লবঙ্গের মতো কার্যকরী উপকরণ কমই আছে।
কী ভাবে বানাবেন এই লবঙ্গ চা?
এক কাপ গরম জলে ৪-৫ টি লবঙ্গ দিয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রেখে দিন। একটু ঠান্ডা হলে খেয়ে নিন। সপ্তাহে ৩ দিন খেলেই মিলবে উপকার।