এসি কেনার আগে মাথায় রাখুন কিছু বিষয়। ছবি: সংগৃহীত।
চৈত্রের গরমে অতিষ্ঠ বাঙালি। বৈশাখ মাস এগিয়ে আসছে গুটি গুটি পায়ে। হাওয়া অফিস বলছে গরমের দাপট আরও বাড়বে। মাঝেমাঝে আকাশ মেঘলা হয়ে এলেও গরমের অস্বস্তি কমার নেই। যত ক্ষণ শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রের পরশ পাওয়া যাচ্ছে, স্বস্তির মেয়াদ ঠিক ততটুকুই। বাইরে বেরোলেই আবার এক অস্বস্তি। বাইরের কাজ সেরে কত তড়িঘড়ি এসি ঘরে ঢোকা যায়, গ্রীষ্মের দিনগুলিতে মনে মনে সেটাই চলতে থাকে। কিন্তু কিনব কিনব করে অনেকেই এখনও এসি কিনে উঠতে পারেননি। এ বছর মনস্থির করে ফেলেছেন বাতানুকূল যন্ত্রটি ঘরে আনবেন। তবে এসির দোকানের চৌকাঠ পেরোনোর আগে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। না হলে মুশকিলে পড়তে পারেন।
এসির ধরন
উইন্ডো এসি না কি স্প্লিট এসি — কোন ধরনের এসি কিনবেন? সেটা আগে ঠিক করে দোকানে যান। স্প্লিট এসিতে কমপ্রেসর থাকে ঘরের বাইরে। এতে যন্ত্রের শব্দ খুবই কম। ঘরের দেওয়ালের যে কোনও অংশে লাগিয়ে দেওয়া যায় স্প্লিট এসি। অন্য দিকে উইন্ডো এসি লাগাতে গেলে একটি জানালা বন্ধ হয়ে যায়। তবে উইন্ডো এসির দাম স্প্লিট এসির থেকে বেশ কিছুটা কম।
বিদ্যুৎ খরচের রেটিং
এসির গায়ে স্টিকারে এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত রেটিং থাকে। ১ স্টার রেটিং মানে ১ বছরে ৮৪৩ ইউনিট ব্যবহার করে এসি-টি। ৫ স্টারের অর্থ, ব্যবহার হয় ৫৫৪ ইউনিট। অতএব, স্টারের সংখ্যা যত বেশি, বিদ্যুতের খরচ তত কম।
বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী ইনভার্টার
এই এসিতে ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলে স্বয়ংক্রিয় ভাবে কমপ্রেসর বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ বাতানুকূল যন্ত্রের তুলনায় এই এসিতে বিদ্যুৎ খরচ হয় কম। কারণ কম ক্ষমতায় এর কমপ্রেসর চলতে পারে। বিদ্যুৎ খরচে সাশ্রয়ের জন্য এই ইনভার্টার এসি বেশ জনপ্রিয় এখন।
সংস্থা
ভাল সংস্থা গুণগত মানসম্পন্ন পণ্য সরবরাহ করে। তাই এসি দেশি হোক বা বিদেশি, মাথায় রাখতে হবে সংস্থার জনপ্রিয়তা। যন্ত্র যেন টেকসই হয়। ভিন্ন ভিন্ন আকর্ষণীয় এসির হাতছানি থাকবে। কিন্তু ভাল ভাবে বিবেচনা করে নিতে হবে কেনার আগে। তবে বিভিন্ন সংস্থার এসির দাম ভিন্ন ভিন্ন।