শীতের মরসুমে কেন ক্রিম ব্লাশ বেছে নেবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
শীত না এলেও, তার প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। শুষ্ক হয়ে যাচ্ছে ত্বক, টানও ধরছে। এই সময় দরকার বিশেষ যত্ন, ময়েশ্চারাইজ়িং। ত্বকের প্রয়োজন বাড়তি আর্দ্রতারও। তবে শুধু ক্রিম মাখলেই হবে না, এই সময় বদলে নিতে পারেন মেকআপের জিনিসপত্রও। গালে গোলাপি আভা আনে ব্লাশ। তার নিখুঁত ছোঁয়ায় বেড়ে যায় রূপও। কিন্তু শীতের দিনে রূপটানে কেন বেছে নেবেন ক্রিম ব্লাশ?
ত্বক এবং প্রসাধনী নিয়ে চর্চা করেন মিহির জৈন। তিনি বলছেন, এই সময় যে হেতু ত্বক তার স্বাভাবিক আর্দ্রতা হারায়, তাই শুষ্ক ত্বকে গুঁড়ো ব্লাশ ঠিক ভাবে মিশতে চায় না। রূপটান নিখুঁত হয় না। শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়শ্চারাইজ়ার যুক্ত ক্রিম ব্লাশ উপযুক্ত। এতে থাকা শিয়া বাটার, গ্লিসারিনের মতো উপকরণ ত্বককে আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। শুধু শীতে নয়, যাঁদের ত্বক শুষ্ক তাঁদের জন্য ক্রিম ব্লাশই ভাল। পাউডার ব্লাশে ত্বক অনেক সময় আরও বেশি শুষ্ক দেখায়। অথচ ক্রিমি ব্লাশ চট করে মিশে যায়। বি-টাউনের তারকাদের রূপটান শিল্পী পুনীত বি সাইনি বলছেন, ক্রিম ব্লাশ শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী। দীর্ঘ ক্ষণ মুখে থাকে।
কেন ক্রিম ব্লাশ?
শীতের মরসুমে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকে। ঘাম হয় না। ফলে ক্রিম ব্লাশ মুখের সঙ্গে সঠিক ভাবে মিশে গেলে মনে হয় তা যেন ত্বকের নিজস্ব আভা। এতে ময়েশ্চারাইজ়ার, গ্লিসারিন থাকায় ত্বকেও আর্দ্রতাও বজায় থাকে। ফলে ত্বক দেখায় কোমল এবং সুন্দর।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন ক্রিম ব্লাশ?
রূপটান শিল্পী পুনিত বি সাইনি বলছেন, ক্রিম ব্লাশ আঙুল দিয়েও মাখা যায়। না হলে ভিজে স্পঞ্জ বা ক্রিম ব্লাশের জন্য নির্দিষ্ট তুলি বেছে নেওয়া যেতে পারে। আঙুলের সাহায্যে ব্লাশ লাগালে, অবশ্যই আগে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। গালের ফোলা অংশটি থেকে উপরের দিকে কানের পাশ পর্যন্ত ব্লাশ লাগাতে হবে।
সঠিক রং
ট্রেন্ড বলেই যে কোনও রঙের ব্লাশ মেখে ফেললে, সাজ ভন্ডুল হতে বাধ্য। পুনিতের কথায়, এটা খুব সাধারণ ভুল। ত্বকের সঙ্গে কোনটা মানানসই তা বুঝতে হবে। প্রত্যেকের ত্বকের বর্ণ আলাদা। কারও ত্বকে গোলাপি ভাল লাগতে পারে, আবার উজ্জ্বল বর্ণ হলে ‘বার্ন্ট অরেঞ্জ’ ভাল লাগবে।