শীতে ত্বকের প্রয়োজন বুঝে তবেই বাড়তি প্রসাধনী কিনুন। ছবি: সংগৃহীত
জাঁকিয়ে শীত পড়েনি। তবে ত্বকের বাড়তি যত্ন নেওয়ার মতো বাতাসে টান যথেষ্ট ধরেছে। শীতের রোদ গায়ে না মাখলে যেমন শরীর যবুথবু হয়ে যায়, তেমনই এই সময়ে খানিক বাড়তি যত্ন না করলে ত্বকও অভিমান করে গুটিয়ে যায়। কিন্তু বাড়তি যত্ন আদতে কী? নানা রকম ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার কিনবেন? কমলালেবুর খোসা বেটে গালে লাগাবেন নাকি ঘন ঘন নারকেল তেলের মালিশ করবেন? ত্বকের ঠিক কী প্রয়োজন, কতটা প্রয়োজন— এই বিষয়গুলি তলিয়ে না দেখেই অনেকে গুচ্ছের খরচ করে ফেলেন। সে ভুল না করে দেখে নিন ত্বকের প্রয়োজনটা কী—
১। ঠান্ডা থেকে বাঁচতে যেমন আমরা পোশাকের উপর শীতপোশাক চাপাই, তেমন ত্বকের ক্ষেত্রেও বাড়তি কিছু ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার চাই। শীতকালে ত্বক শুকিয়ে যায় সহজেই। তাই জেল্লা ধরে রাখতে একটি ক্রিমের উপর আরও ময়েশ্চারাইজার লাগানোই যায়। তবে সহ়জ উপায় হল ময়েশ্চারাইজার লাগানোর আগে কোনও সিরাম ব্যবহার করা। তা হলে ত্বকে নানা রকম ভিটামিন বা অন্য জরুরি পদার্থ সহজেই যাবে।
২। ঠোঁট, গাল, নাক খুব তাড়াতাড়ি ফেটে যায় এ সময়ে। চামড়াও শুকিয়ে খড়খড়ে হয়ে থাকে। যদি যত্ন না করেন, তা হলে এই মরসুমে আরও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বক আর্দ্র রাখার জন্য বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। হায়লারনিক অ্যাসিড, সেরামাইড বা পেপটাই়ডের মতো জিনিস সাহায্য করে ত্বকের যে কোনও ক্ষত দ্রুত সারিয়ে তুলতে।
৩। স্নানের পর একটি হাল্কা ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিলেই আর চলবে না এই সময়ে। বরং স্নানের আগে নারকেল তেল মালিশ, কোকো বা শিয়া বাটারের মতো গাঢ় ময়েশ্চারাইজার লাগালে ত্বক আর্দ্র থাকবে ভাল ভাবে। হাত-পা ফাটার সমস্যাও দূর হবে অনেকটাই।
৪। অযথা অনেক ক্রিম বা সম্পূর্ণ নতুন প্রসাধনীর সংগ্রহ কিনে ফেলবেন না। ত্বকের প্রয়োজন অনুযায়ী জিনিস কিনুন। যদি মনে হয় শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ঠোঁট ফাটা সামাল দেওয়া যাচ্ছে না, তখনই আরও ভারী কোনও লিপ বাম কেনার কথা ভাবুন। একই ভাবে আপনার নিয়মিত ব্যবহার করা যে প্রসাধনীগুলি দিয়ে কাজ চলে যাচ্ছে, সেগুলি রেখে দিন। বাড়তি প্রয়োজন হলে তবেই নতুন জিনিস কিনুন।
৫। এই সময়ে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে। তাই খুব বেশি ঘষাঘষি না করাই ভাল। স্ক্রাব ব্যবহার করতেই পারেন, কিন্তু সপ্তাহে তিন দিনের বদলে এক দিন করুন। কিংবা খুব কড়া স্ক্রাবের বদলে ব্যবহার করুন এমন কোনও স্ক্রাব, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।