Sandal Wood

শীত পড়তে না পড়তেই গালভর্তি ব্রণ? হাতের কাছেই রয়েছে চটজলদি সমাধান

ব্রণর সমস্যার মোক্ষম দাওয়াই চন্দন। চন্দন ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে ব্রণ ও র‌্যাশ কমাতে সাহায্য করে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪:০৭
ব্রণর সমস্যার মোক্ষম দাওয়াই চন্দন।

ব্রণর সমস্যার মোক্ষম দাওয়াই চন্দন। ছবি: প্রতীকী

ভারতে পূজার্চনা এবং আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় চন্দন অপরিহার্য। পাশাপাশি, প্রাচীন কাল থেকে রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপাদান এটি। হাজার বছর পরে, আজও বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ও সুগন্ধি তৈরিতে চন্দন ব্যবহার করা হয়। কারণ ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ও ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে চন্দনের জুড়ি মেলা ভার। এখন চন্দনকাঠ ঘষে ঘষে চন্দন তোলার সময় না পেলে অনেকেই সরাসরি চন্দনের তেল কিনে নেন। শুধু গন্ধই নয়, এই কাঠের নানা রকম ভেষজ গুণও রয়েছে।

Advertisement

১। ব্রণ কমাতে

ব্রণর সমস্যার মোক্ষম দাওয়াই চন্দন। চন্দন ত্বকের তেলতেলে ভাব কমিয়ে ব্রণ ও র‌্যাশ কমাতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত ব্রণর সমস্যা থাকলে, চন্দনের সঙ্গে বিউলির ডাল ও গোলাপজলের প্যাক আধ ঘণ্টা মুখে লাগিয়ে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক বেশি তৈলাক্ত হলে স্নানের আগে বা রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চন্দন গোলাপজলে মিশিয়ে দশ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

২। মানসিক চাপ কমাতে

মানসিক চাপ কমাতেও কাজে আসতে পারে চন্দনের তেল। অ্যারোমাথেরাপির অংশ হিসাবে অনেকেই চন্দনের তেল ব্যবহার করেন। মনে করা হয় চন্দনের সুবাস স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়।

চন্দনকাঠ দামি জিনিস, তাই বাজারে ভেজাল চন্দন কাঠের কমতি নেই।

চন্দনকাঠ দামি জিনিস, তাই বাজারে ভেজাল চন্দন কাঠের কমতি নেই। —ফাইল চিত্র

৩। সংক্রমণ আটকাতে

অনেকেই মনে করেন চন্দন কাঠের তেল রক্তক্ষরণ আটকাতে পারে। তা ছাড়া, বিভিন্ন ধরনের জীবাণুর সংক্রমণও কমাতেও সাহায্য করতে পারে। তাই পুরুষরা দাড়ি কামানোর পর আফটার শেভ লোশন হিসাবে এই তেল ব্যবহার করতে পারেন।

৪। বলিরেখা দূর করতে

চন্দন অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর। মুখের বলিরেখা ও চোখের তলার কালো দাগ কমাতে মহৌষধ হতে পারে এই অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টই। বয়স ধরে রাখতে বা চোখের তলার কালো দাগ গায়েব করতে চন্দনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে ৫-৭ মিনিট মেখে রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কালচে দাগ দূর করার জন্য চন্দনের সঙ্গে নারকেল তেল ও লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, লেবুর রস ব্যবহার না করাই ভাল।

৫। সংক্রমণ কমাতে

অনেকেই গায়ের ব্যথা, সংক্রমণ বা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য চন্দনগুঁড়ো দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খান। তবে বিষয়টি কতটা বিজ্ঞানসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। নিয়মিত চন্দন খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তা ছাড়া চন্দনকাঠ দামি জিনিস, তাই বাজারে ভেজাল চন্দন কাঠের কমতি নেই। চন্দন যাতে বিশুদ্ধ হয়, সে দিকেও খেয়াল রাখুন।

Advertisement
আরও পড়ুন