ছবি: সংগৃহীত
সামনেই নতুন বছর। উৎসবের মরসুম। খাওয়াদাওয়া ঘোরাঘুরির পাশাপাশি সাজগোজও থাকবে। রূপটানের পাশাপাশি সাজগোজের অন্যতম অনুষঙ্গ হল চুলের বাহার। তাই ত্বকের পাশাপাশি চুল ঠিক রাখাও জরুরি। তবে নানা ভাবে চুলে কায়দা করতে গিয়ে অজান্তে অনেকেই চুলের ক্ষতি করে ফেলেন। তাই চুলের সাজের পাশাপাশি চুলের যত্নেও খেয়াল রাখা জরুরি।
১)অনেকেই আছেন যাঁরা রাতে ঘুমানোর আগে চুলে বিনুনি করে ঘুমান। প্রতিদিন চুলে বিনুনি করে শোয়ার ফলে চুলের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় বারবার চাপ পড়ে। এই ভাবে চুলের আগা ভাঙা শুরু হয়। তাই ঘুমাতে যাওয়ারআগে বিনুনি না করে বরং ভিন্ন ভিন্ন পনিটেল করে চুল বাঁধতে পারেন।
২) কোথাও বেরোবার আগে তাড়াতাড়ির সময় চুল নিয়ে কী করবেন বুঝতে না পেরে শক্ত একটি ঝুঁটি করে বেরিয়ে যান। এতে চুলের ত্বকের উপর চাপ পড়ে। চুলের ফলিকল ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এ ভাবে চুল বাঁধার ফলে অনেকসময় চুল ঝরে পড়ে। তবে একান্তই যদি এ ভাবে চুল বাঁধতে হয়, তাহলে একটা স্যাটিন স্কার্ফের মধ্যে বেঁধে রাখতে পারেন।
৩) অফিস বেরোনোর আগে শ্যাম্পু করলে ব্যস্ততার মধ্যে ভেজা চুল বেঁধেই চলে যান? তাহলে আপনি অজান্তেই ক্ষতি করছেন চুলের। তাই বেরোনোর আগে চুল শুকিয়ে নিন। খুব তাড়া থাকলে মাঝেমাঝে চুল শুকানোর যন্ত্র দিয়েও শুকিয়ে নিতে পারেন চুল।
৪) আজকাল অনেক মহিলাই চুল সোজা করিয়ে নেন কৃত্রিম ভাবে। তবে সাধারণ চুলের চেয়ে কোনও রকম রাসায়নিক ট্রিটমেন্ট করা চুলে অনেক বেশি এবং আলাদা যত্নের প্রয়োজন। স্ট্রেইটনারের থার্মাল হিটে চুলের অভ্যন্তরীণ মলিকিউল অনেকসময় বদলে যায়। এতে চুল হয়ে পড়ে ভঙ্গুর। চুলের আগা ফেটে যায়। তাই স্ট্রেইট করার চেয়ে কেরাটিন করিয়ে নিলে চুল ভাল থাকবে। আবার আপনার চাহিদা অনুযায়ী চুল সোজাও থাকবে।
৫) স্ট্রেইট করার পাশাপাশি অনেকে চুলে বিভিন্ন রং করে থাকেন। রং করা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তবে একান্তই রং করতে হলে হাল্কা করে করুন।
আবার অনেকে চুল ঘন করতে আলাদা করে চুলও লাগান। এর ফলে আসল চুলের উপর চাপ পড়ে। যেখানে চুল জোড়া হয়েছে সেখান থেকে চুল ভেঙে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।