প্রতীকী ছবি
চামড়ার রং যতই ফর্সা হোক না কেন, চুল চাই কুচকুচে কালো। ফলে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা কারও কারও জীবনে বিভীষিকা হয়ে দেখা দেয়। পাকা চুল কালো করার জন্য বাজারচলতি একাধিক জিনিস পাওয়া যায়। রাসায়নিক মেশানো এই সব জিনিসের নিয়মিত ব্যবহারে চুলের ক্ষতি হওয়াও নিতান্ত অসম্ভব নয়। আসলে চুল পাকতে শুরু করলেই যে প্রশ্নটি অনেকের মনে তৈরি হয়, তা হল প্রাকৃতিক ভাবেই সাদা চুল আবার কালো হতে পারে কি না। ধূসর বা সাদা হয়ে গেলে চুলের স্বাভাবিক রং ফিরে পাওয়ার বিষয়ে অনেক ভুল তথ্যও ছড়িয়ে আছে চারদিকে।
বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, মেলানিন, একটি রঙ্গক উৎপাদনকারী উপাদান, যা মেলানোসাইট কোষ তৈরি করে এবং এটিই চুল ও ত্বকের প্রাকৃতিক রং তৈরি করে। ফলে যত কম মেলানিন থাকবে, চুলের রং তত হাল্কা হবে। ধূসর চুলে থাকে ন্যূনতম মেলানিন। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চুলের মেলানিন কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। প্রকৃতপক্ষে, অনুমান করা হয় যে তিরিশ বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনার চুল ধূসর হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রতি দশকেই কুড়ি শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। এবং তা আর কখনও স্বাভাবিক ভাবে পুরনো রং ফিরে পেতে পারে না।
বয়স বাড়া ছাড়াও অসময়ে এই মেলানিন কমে যাওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে। অবসাদ, কোনও মারণব্যাধির আক্রমণ, অতিরিক্ত মদ্যপান, রাসায়নিকের সংস্পর্শে নিয়মিত আসা, কিংবা বংশধারা। এ সবই হতে পারে চুল পেকে যাওয়ার কারণ। মানে চুলে মেলানিন হ্রাস পেতে থাকার কারণ। এবং এই প্রক্রিয়া স্বাভাবিক উপায়ে পিছনের দিকে চালানোর কোনও উপায় বিশ্বের তাবড় চিকিত্সকরাও বাতলে দিতে পারেননি। বরং চুল যাতে অকালে সাদা না হয়ে যায়, তার জন্য আমরা খেতে পারি সুষম খাদ্য এবং করতে পারি নিয়মিত শরীরচর্চা।